Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪,

কলাপাড়ায় তরমুজের বাম্পার ফলন

মার্চ ১৭, ২০১৫, ০১:০১ পিএম


কলাপাড়ায় তরমুজের বাম্পার ফলন

 

কলাপাড়ায় তরমুজের আগাম ফলন পাওয়ার আশায় চাষীরা এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। কৃষকরা এখন দিনরাত ক্ষেত পরিচর্যা করছে। এছাড়া চুরির হাত থেকে ক্ষেতের ফলন রক্ষায় রাত জেগে বসানো হয়েছে পাহারা।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরলে চোখে পরে তরমুজের সবুজ ক্ষেত। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে এ বছর বাম্পার ফলন পাবে এ আশায় বুক বেঁধেছে কৃষকরা।

এদিকে, বিভিন্ন কোম্পানি বীজ ও পোকা নিধনের ফাঁদসহ অন্যান্য উপকরণ সামগ্রী সরাসরি ক্ষেতে পৌঁছে দেয়ায় বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার তরমুজ চাষে ব্যাপক সাড়া পরেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার ধানখালী, চম্পাপুর, লালুয়া, ধুলাসার, লতাচাপলী, খাপড়াভাঙ্গা ইউনিয়নসহ কুয়াকাটার সৈকতের বিভিন্ন স্থানে এ বছর চাষীরা তরমুজের ব্যাপক চাষাবাদ করছে। কিন্তু পর্যাপ্ত মিঠাপানি সরবরাহ করতে না পারায় কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে ওইসব কৃষকদের। এরপরও ভালো ফলন পাওয়ার আশায় কৃষকদের মধ্যে বইছে আনন্দের জোয়ার।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততার কারণে এক সময় তরমুজসহ অন্যান্য রবিশস্য ভালো হতো না। ধীরে ধীরে লবণাক্ততা কমে যাওয়ার ফলে কৃষকরা তরমুজসহ অন্যান্য রবিশস্য উৎপাদন করতে উৎসাহী হচ্ছে। এ বছর ১ হাজার ৮শ ২৭ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করলে তারা জানান, তরমুজ চাষ লাভজনক হওয়ায় এ বছর অনেকেই অধিক জমি নিয়ে তরমুজ চাষ করেছে। উন্নত জাতের বীজ, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ওষুধের অধিক মূল্য হওয়ার কারণে প্রথম পর্যায় কৃষকদের সমস্যায় পরতে হয়েছে।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সবিনয় চন্দ্র পাইক জানান, তরমুজ ক্ষেতে মিঠা পানি সরবরাহ করার জন্য কৃষি জমি সংলগ্ন খালগুলো পুনর্খনন করা হয়েছে। এছাড়া পুরানো খালগুলোতে বাঁধ দিয়ে মিঠাপানি সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে কৃষকদের এ বছর ভালো ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।