Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

খুলনায় ৬ জাতের নতুন ধানের যাত্রা শুরু

বিএইচ সজল, খুলনা

জুলাই ১৮, ২০২১, ০৯:৩৫ এএম


খুলনায় ৬ জাতের নতুন ধানের যাত্রা শুরু

বছর দশেক আগে ইমাসকুলেশন ও পলিনেশনের মাধ্যমে ব্রিডিং করে ৬টি জাত উদ্ভাবনে সফল হয়ে ২০২০ সালের আমন মৌসুমে এফ ১০ পর্যায় শেষ করলো খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের কৃষক আরুনী সরকার। স্বপ্ন ও চেষ্টা; শেষ পর্যন্ত মানুষকে তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করে। আরুণি সরকার তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ। শেষ পর্যন্ত ৬ জাতের নতুন আমন ধানের যাত্রা শুরুই হলো। 

রোববার (১৮ জুলাই) খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউনিয়নের স্টার ইউনিট প্রাঙ্গনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রস্তাবিত ধানগুলোর নাম আলো ধান, লোকজ ধান, আরুণি ধান, গঙ্গা ধান, মৈত্রী ধান, লক্ষীভোগ ধান সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরা হয়।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লোকজ এবং মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের আয়োজন ও মিজারিওর জার্মানী সহযোগিতায় সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ত্ব করেন লোকজের সভাপতি ও কালেরকণ্ঠের খুলনা ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক গৌরাঙ্গ নন্দী এবং লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল। 

লোকজের নির্বাহী পরিচালক দেবপ্রসাদ সরকারের সঞালনায় এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-গঙ্গারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ মো: হাদি-উজ-জামান হাদী, কৃষক ফেডারেশনের সহসভাপতি আশালতা ঢালী, সহসাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান লাভলু ও ব্রিডার কৃষক আরুণি সরকার, কৃষক দেবজ্যোতি মহালদার, তরুণি সরকার প্রমুখ। 

সংবাদ সম্মেলনে ব্রিডার কৃষক আরুণি সরকার বলেন, ২০১০ সালে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা লোকজের প্রণোদনায় ব্রিডিং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দেশীয় প্রজাতির ১০টি জাতকে মাদার ও ১০টি জাতকে ফাদার করে ইমাসকুলেশন ও পলিনেশনের মাধ্যমে ব্রিডিং করে ৬টি জাত উদ্ভাবনে সফল হয়ে পর্যায়ক্রমে ২০১০ হতে এফ-১ এফ-২ এফ-৩ এফ-৪ এফ-৫ এফ-৬ এফ-৭ এফ-৮ এফ-৯ এফ-১০ পর্যায় গত ২০২০ সালে শেষ করেছেন। 

আরুনি ২০২০ সালে আমন মৌসুম শেষে ইতোমধ্যে কিছু কিছু জাত কৃষকদের নিকট বিতরণ করা হয়েছে। জাতগুলোর মাদার ফাদার থেকে ফলন বেশি, গাথুনি ঘন, শীষ লম্বা ও দুর্যোগ সহিষ্ণু হয়েছে। মাদার ফাদার থেকে তাদের জীবনকাল কমেছে। সংবাদ সম্মেলনে ফাদার-মাদারসহ উদ্ভাবিত নতুন ধানগুলো ভিজুয়ালী উপস্থাপন করা হয়। 

স্থানীয় জটাই বালাম ও তেইশ বালাম ক্রসের ফলে উদ্ভাবিত নতুন ধানের নাম প্রস্তাবিত নাম আলো, সাহেবকচি ও কাঁচড়া ক্রসের ফলে উদ্ভাবিত নতুন ধানের নাম প্রস্তাবিত নাম লোকজ ধান, চাপশাইল ও কুমড়াগোড় ক্রসের ফলে উদ্ভাবিত নতুন ধানের নাম প্রস্তাবিত নাম আরুণি ধান, বেনাপোল ও ডাকশাইল ক্রসের ফলে উদ্ভাবিত নতুন ধানের নাম প্রস্তাবিত নাম গঙ্গা ধান, তেইশ বালাম ও জটাই বালাম ক্রসের ফলে উদ্ভাবিত নতুন ধানের নাম প্রস্তাবিত নাম মৈত্রী ধান এবং বজ্রমুড়ি ও কুমড়াগোড় ক্রসের ফলে উদ্ভাবিত নতুন ধানের নাম প্রস্তাবিত নাম লক্ষীভোগ ধান। 

এই নতুন ৬ জাতের ধানের উদ্ভাবন বাংলাদেশের কৃষি তথা দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের কৃষিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে।

আমারসংবাদ/এআই