Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪,

ভিয়েতনামের নারকেল চাষে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন দেলুয়ার শিকদার

আমিনুল ইসলাম, সখীপুর (টাঙ্গাইল)

সেপ্টেম্বর ৪, ২০২১, ০৮:৫৫ এএম


ভিয়েতনামের নারকেল চাষে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন দেলুয়ার শিকদার

পৃথিবীর অপূর্ব সুন্দর গাছের মধ্যে নারিকেল একটি। এ গাছের ফল সহ প্রতিটি অঙ্গ ছোট-বড় শিল্পের মাধ্যমে বা সরাসরি জনজীবনে কাজে আসছে। আমাদের দেশে নারিকেলের যেসব জাতের প্রচলন আছে, তা মূলত লম্বা ও কম উৎপাদনশীল। এসব গাছে ফলন আসতে ৮ থেকে ৯ বছর সময় লাগে। 

পক্ষান্তরে উচ্চফলনশীল ওপি (খাটো) জাতের নারিকেলের ফলন আসতে সময় লাগে মাত্র ৩ থেকে ৪ বছর। ভিয়েতনাম থেকে আনা উচ্চফলনশীল এ নারিকেলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। ভিয়েতনাম থেকে সংগ্রহ করা নারিকেল গাছ লাগিয়ে সফল হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন টাঙ্গাইলের সখীপুরে পৌরসভার ৩-নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর দেলুয়ার শিকদার।

খাটো জাতের এই নারকেল গাছে মাত্র তিন বছরেই ফলন ধরতে শুরু করে। আগামী ১ বছরের মধ্যে এ বাগান থেকে বাণিজ্যিকভাবে নারকেল বাজারজাত করার আশা করছেন তিনি। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেলদুয়ার শিকদার কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ভিয়েতনাম জাতের ২১০টি চারা সংগ্রহ করেন। সখীপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডে ও কৈয়াদী গ্রামে ১ একর জমিতে ২ টি বাগানে চারা রোপণ করেন। 

এছাড়াও উপজেলার আমতৈল দূর্গাপুরসহ আরও কয়েকটি গ্রামে ছোট ছোট ৫/৭ টি বাগান রয়েছে। প্রতিটি গাছ থেকে অন্তত ২ শতাধিক  নারকেল পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়।

সখীপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শহীদ শিকদার আমার সংবাদকে বলেন, 'সখীপুরে  এটাই প্রথম ভিয়েতনামের খাটো জাতের নারকেলের বাগান। এই বাগান দেখে অনেকে নতুন করে বাগান করতে শুরু করেছে।'

দেলুয়ার শিকদার আমার সংবাদকে বলেন, 'আমার বাগানে এখনও নারকেল ধরা শুরু হয়নি। আশাকরি আগামী এক বছরের মধ্যে নারিকেল ধরতে শুরু করবে। কৃষি অফিসের সহযোগিতা পেলে উচ্চ ফলনশীল এ জাতীয় নারকেলের আবাদ বাড়ানোর মাধ্যমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা সম্ভব হবে।'

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিয়ন্তা বর্মন আমার সংবাদকে বলেন, সখীপুরে এটাই প্রথম বানিজ্যিক ভাবে ভিয়েতনামের উচ্চফলনশীল ওপি (খাটো) জাতের নারিকেলের বাগান।এ জাতের নারিকেলে ফলন আসতে সময় লাগে মাত্র ৩ থেকে ৪ বছর। ভিয়েতনামের উচ্চফলনশীল এ নারিকেলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

আমারসংবাদ/এআই