নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ৬, ২০২১, ০১:৫০ পিএম
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘দেশে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা নিশ্চিত করতে এবং নিরাপদ এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। দেশের দরিদ্র কৃষকদের জন্য কৃষিখাতের লাভজনক বাণিজ্যিকীকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।’
বুধবার (৬ অক্টোবর) ‘বাংলাদেশ ট্রেড ফেসিলিটেশন প্রজেক্ট’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকা হোটেলে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব এগ্রিকালচার-এর আর্থিক সহায়তায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ঢাকাস্থ ইউএস অ্যাম্বাসির ইউএসডিএ এগ্রিকালচারাল এটাসি মিজ মেগান ফ্রানসিক’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত কার্ল আর মিলার, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং এফবিসিসিআই’র পরিচালক আবুল কাশেম খান, বাংলাদেশ ট্রেড ফেসিলিটেশন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মিকায়েল উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশি কৃষি পণ্যের শক্তিশালী অবস্থান নিশ্চিত করতে সরকার এ খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। কৃষি পণ্যের বাণিজ্য পদ্ধতির আইনি ও কাঠামোগত সংস্কার, পণ্যের গুনগতমান নিশ্চিতকরণের জন্য পরীক্ষা পদ্ধতির উন্নয়ন, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত পণ্য সংরক্ষণে অবকাঠামো তৈরি ও উন্নয়নে বাংলাদেশ ট্রেড ফেসিলিটেশন প্রজেক্ট সহায়ক হবে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বিশ্ববাণিজ্যে দেশি কৃষি পণ্যের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি হবে।
উল্লেখ্য, প্রায় ২৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারকে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার ট্রেড ফেসিরিটেশন এগ্রিমেন্ট বাস্তবায়নে সহায়তা করবে। এতে বাংলাদেশি পণ্যের বিশ্ববাজারে প্রবেশে সহায়তা প্রদান এবং আমদানি ব্যয় ও সময় হ্রাস করতে সহায়ক হবে। আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে এ প্রকল্প আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়া সহজতর, স্বয়ংক্রিয়করণ, ঝুঁকিভিত্তিক পণ্য ছাড়করণ প্রক্রিয়া শক্তিশালীকরণ, আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়া ও পণ্য প্রবেশ সংশ্লিষ্ট নিয়মকানুন অবহিতকরণ ও প্রক্রিয়ার উন্নয়ন, পরীক্ষাগারগুলোর পণ্য পরীক্ষার প্রক্রিয়া ও সক্ষমতা উন্নয়ন এবং পচনশীল পণ্যের বাণিজ্যিকীকরণ সহজ করার জন্য কোল্ড-চেইন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে কাজ করবে।
আমারসংবাদ/আরএইচ