রাজধানীতে সিরিয়াল র‌্যাপিষ্ট গ্রেপ্তার 

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: জুন ১৭, ২০২২, ০৫:২৮ পিএম

পিরোজপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে আত্মগোপন, আত্মগোপনে থাকা অবস্থায়ও একাধিক ধর্ষণ  

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় স্কুলছাত্রীকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যে আগেও বহুবার একই অপরাধ করেছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব। ঢাকার উত্তরা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে শামিম হোসেন মৃধা নামের ৩২ বছর বয়সী ওই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। 

শুক্রবার (১৭ জুন) কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শামিম ঢাকার বাবুবাজার ও গাবতলী এলাকায় অটোরিকশা এবং প্রাইভেটকার চালক হিসেবে কাজ করে। “১৬ বছর বয়সে সে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, মাদক সেবন ও মাদক কেনাবেচার মাধ্যমে অপরাধ জগতে প্রবেশ করে। সে একজন সিরিয়াল রেপিস্ট।” 

মঈন বলেন, বিভিন্ন এলাকায় ‘নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ নানা অপরাধ করে’ আত্মগোপনে চলে যেতেন শামিম। গ্রেপ্তার এড়াতে এক জায়গায় বেশিদিন থাকতেন না। আত্মগোপনে থাকা অবস্থাতেও একাধিকবার তিনি ‘ধর্ষণের ঘটনা ঘটান’। 

পিরোজপুরের ঘটনায় গত ১১ জুন ভাণ্ডারিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন সেই ছাত্রীর মা। 

র‌্যাব জানায়, ওই মামলার বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-৮ শামিমকে গ্রেপ্তার করে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে মঈন বলেন, “পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে মেয়েটিকে ধারালো অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় শামিম। ঘটনার পরপরই সে ঢাকায় আত্মগোপন করে। শামিম আগেও একই অপরাধ করেছে জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা মঈন বলেন, “২০১৫ সালে ২৬ জানুয়ারি ভাণ্ডারিয়া উপজেলার এসএসসি পরীক্ষার্থী এক ছাত্রীকে রাতে ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে ধর্ষণের চেষ্টা করে সে। ২০১৭ সালে ১ নভেম্বর একই উপজেলার আরেক ছাত্রীকে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে রামদা দিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। একইভাবে ২০২১ সালে ১০ অক্টোবর আরেক মাদ্রাসার ছাত্রীকে যৌনপীড়ন করে।” অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীরা লোকলজ্জা ও সামাজিক মর্যাদাহানির ভয়ে মামলা করা থেকে বিরত ছিল বলে জানান মঈন। 

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টা ও মাদক বিক্রিসহ বিভিন্ন অভিযোগে শামিমের বিরুদ্ধে ১০টির বেশি মামলা রয়েছে এবং বিভিন্ন মেয়াদে তিনি চার থেকে পাঁচবার সাজাও খেটেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ছয়টি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

 
এনএম/ইএফ