সারজিস আলম

সংস্কার সম্পন্ন হলে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে আমাদের দ্বিমত নেই

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: জুন ৯, ২০২৫, ০৩:৫২ পিএম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, যদি দৃশ্যমান বিচারিক প্রক্রিয়া আমরা দেখতে পাই, মৌলিক সংস্কারগুলো আমাদের সামনে দৃশ্যমান হয় এবং নির্বাচনকালীন কিছু সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে বিচার বিভাগের, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর, নির্বাচন কমিশনের, এগুলো সম্পন্ন হলে এপ্রিলে নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু তার পূর্বে নির্বাচনকালীন এই সংস্কারগুলো নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার (৯ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গীতে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গ চা চক্র শেষে সাংবাদিকের তিনি এসব কথা বলেন।

সারজিস আলম বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমরা সব সময় দেখে এসেছি নির্বাচনকালীন সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়। কালো টাকার পেশিশক্তির অপব্যবহার করা হয়। আমরা এই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে এই নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং একটি ফিল্ড দেখতে চাই। যেখানে ছোট দল হোক, বড় দল হোক, সবাই তাদের জায়গা থেকে স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু একটি নির্বাচন একদম স্বয়ংক্রিয় এবং স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে এই নির্বাচনগুলোতে তারা অংশগ্রহণ করতে পারবে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক শক্তি আর সাংগঠনিক শক্তি সমান নয়। কেউ যেন কারো দ্বারা এখানে ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার না হয়। অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো আমরা বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোটকেন্দ্র থেকে শুরু করে নির্বাচনী এলাকায় দেখেছি। ভোটকেন্দ্র দখল করা, ব্যালট চুরি করা, এই টাইপের ঘটনাগুলো যেন আমরা আগামীর বাংলাদেশে কোনো নির্বাচনে না দেখি সেই ক্ষেত্রে এই অন্তর্বর্তী সরকারকে ততটুকু পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে, নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে এবং বিচার বিভাগের মাধ্যমে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি  আবদুল হামিদের দেশে ফিরে আসা নিয়ে সারজিস আলম বলেন, আমরা আমাদের জায়গা থেকে এটাই বলব- অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তারা অভুত্থান পরবর্তী সরকার, অভ্যুত্থানের ম্যান্ডেট নিয়ে সরকার। যারা এতদিন ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ, ফ্যাসিস্ট হাসিনা ছিল, তাদের যারা এমন দোসর ছিল যারা তাদেরকে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠতে সহযোগিতা করেছে, তাদের সামগ্রিক বিষয়গুলোকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমরা কঠোর হস্তক্ষেপ চাই এবং এটা আইনগত প্রক্রিয়ায় যেন হয়। আমরা এই বিষয়টি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সামগ্রিক যে স্টেপ এবং পদক্ষেপ কী নিচ্ছেন তারা আমরা এ বিষয়টি অবজারভ করছি। আমরা বিশ্বাস করি তারা অন্তত এ সকল প্রশ্নে তাদের জায়গা থেকে তাদের শক্ত অবস্থান সব সময় তাদের কাজের মাধ্যমে ব্যক্ত করবেন।

তিনি বলেন, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতিটি ওয়ার্ডে জাতীয় নাগরিক পার্টির সাংগঠনিক আহ্বায়ক কমিটি থাকবে এবং সেটার মধ্য দিয়ে অটোমেটিক আমাদের যে নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রস্তুতি সেটি আমরা মনে করি যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনেকটাই সম্পূর্ণ হবে।

সারজিস আলম আরও বলেন, আমরা প্রত্যাশা করছি নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য যে রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন এই রেজিস্ট্রেশন এর আবেদন করার যে প্রক্রিয়া এই প্রক্রিয়াটি আমরা ১৬ তারিখের মধ্যেই আশা করছি সম্পূর্ণ করতে পারবো। এ জন্য ১০০টি উপজেলা এবং ২২টি জেলায় কমিটি প্রয়োজন হয়, যেগুলো আমাদের ইতোমধ্যে হয়ে গেছে, আমাদের অফিস নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আমরা মনে করছি যে এই মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে আমাদের রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে আবেদন করা সেটা আমরা করব এবং যথা সময়ে যে প্রক্রিয়া রয়েছে সে প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অন্যান্য  রাজনীতির দলের মতো করে আমরা আমাদের নিবন্ধন এবং রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করব।

এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরএস