কলাবাগান থানার ওসিসহ ২ এসআই বরখাস্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: মে ৫, ২০২৫, ১২:৩২ পিএম

সন্ত্রাসীদের সঙ্গে গভীর রাতে চাঁদাবাজি, অর্থ আদায়, ভাঙচুর এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকির অভিযোগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোক্তারুজ্জামান ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) বেলাল হোসেনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, প্রশাসনিক কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষাবিদ ও কলামিস্ট ড. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, তিনি কলাবাগান থানার ওসি ও এসআইয়ের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অর্থ আদায়, ভাঙচুর এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকির অভিযোগ করেছেন এবং সঠিক তদন্তের জন্য ডিএমপি কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ২০২৫ সালের ২৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে কলাবাগান থানার এসআই বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য ও ১৫-২০ জন সন্ত্রাসী তার বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে। তার ম্যানেজার ৯৯৯ এ ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছায়। কিছুক্ষণ পর শাহবাগ ও নিউমার্কেট থানার টহল টিম দুটি গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে কলাবাগান থানার ওসি মোক্তারুজ্জামান শাহবাগ ও নিউমার্কেট থানার টহল টিমকে চলে যেতে নির্দেশ দেন এবং তার ভাড়াটিয়া লাল মিয়া ও নাইট গার্ড লুৎফরকে পুলিশ গাড়িতে তুলে নেওয়ার জন্য বলেন, যা সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ধরা পড়েছে।

ড. আব্দুল ওয়াদুদ আরও জানান, বাসার ভেতর ঢুকে মান্নান নামের একজন পুলিশ সদস্য তাকে বলেন, ‘এ মুহূর্তে ১ কোটি টাকা দিলে আপনি থানায় যেতে হবেনা, বাড়িতে রাখবো।’ তিনি জানান, মিথ্যা মামলা দায়ের করার হুমকি দিয়ে তার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করা হয় এবং বাকি টাকা ব্যাংকিং আওয়ারে দেওয়ার শর্তে তিনজন সিভিল ড্রেস পরা ব্যক্তি তার পাহারায় রেখে যায়, যারা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেয়।

এই ঘটনায় ড. ওয়াদুদ ২ মে ডিএমপি কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

ইএইচ