সাম্য হত্যার বিচার দাবি

৭ ঘণ্টা পর শাহবাগ ছাড়ল ছাত্রদল

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ২২, ২০২৫, ০৫:৫৬ পিএম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শাহবাগে অবস্থান নেন ছাত্রদল কর্মীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে নামা ছাত্রদল নেতাকর্মীরা প্রায় সাত ঘণ্টা পর রাজধানীর শাহবাগ মোড় ছেড়েছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে শাহবাগ ও হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে জড়ো হতে থাকনে ছাত্রদলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।

অবস্থান কর্মসূচির সময় তারা 'আট দিন হয়ে গেল, কেউ কিছু জানে না', ‘আর চাই না, আর চাই না এনএসআইয়ের প্রক্টর,’ ‘ক্যাম্পাসে লাশ ঝুলে, প্রক্টর কী করে’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই ,সাম্য হত্যার বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদ্দেশে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “তারা আমাদের এখনও আশ্বস্ত করতে পারেনি। এখনও তারা প্রকৃত হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে পারেনি।

“এ ঘটনায় অন্তর্বর্তী সরকারের দায় রয়েছে। তারা সাম্যের হত্যার পর এখনও কোনো সহমর্মিতা দেখিয়ে বিজ্ঞপ্তি দেয়নি শুধু ছাত্রদল নেতা হওয়ার কারণে। আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”

তিনি বলেন, “আমরা যদি সাম্য হত্যার বিচার না পাই, তীব্র আন্দোলনে যাব। আমরা রাজপথ ছাড়ব না।

“আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্তি প্রয়োগ করে হলেও এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত করতে হবে। এটা জনগণের কাছে কী ম্যাসেজ যায়? একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সুষ্ঠু বিচার পাচ্ছে না, তাহলে জনগণ কী বিচার পাবে?”

ছাত্রদল সভাপতি বলেন, “গত নয় মাস ধরে সেনাবাহিনী যে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে, তারপরও যদি পুলিশ প্রশাসনে এত দুর্বলতা থাকে, তাহলে দেশের জনগণ কোথায় যাবে।”

বিগত নয় মাসে দেশে কোনো সংস্কার হয়নি; সংস্কারের নামে সরকার কালক্ষেপণ করেছে বলেও অভিযোগ করেন রাকিব।

গত ১৩ মে রাত ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছুরিকাঘাতে আহত হন শাহরিয়ার আলম সাম্য। রাত ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় পরদিন সকালে সাম্যের বড় ভাই শরীফুল আলম শাহবাগ থানায় ’১০-১২ জনকে’ আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেয় পুলিশ।

সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন তিনি। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে।

তার হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে আন্দোলন করে আসছেন ছাত্রদল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।

এর আগেও তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেন।

আরএস