জমজমাট কোরবানির হাট

লাখ টাকার পশুতে চড়া দাম, দর-কষাকষিতে সরগরম

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৫, ০১:৪৮ পিএম

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকায় বসেছে স্থায়ীসহ অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট। 

ঢাকার গাবতলী, অযান্ত্রিক হাট থেকে শুরু করে ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির অস্থায়ী হাটগুলো এখন নানা জাতের গরু-ছাগল-মহিষের পসরা নিয়ে জমজমাট। 

সকাল-সন্ধ্যা চলছে চড়া দাম ও দরকষাকষির উৎসব। বড় গরুর রয়েছে নানান অভিনব নাম ও শ্রেণি, যা ক্রেতাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

বিশালাকার গরুর দাপট

হাটে ঢুকলেই চোখে পড়ে বিশালাকৃতির গরুর দল। কেউ নাম রেখেছেন ‘বাহাদুর’, কেউ বা ‘বাদশা’, ‘কালা নাগ’, ‘মহারাজ’, ‘সুলতান’ কিংবা ‘টাইটানিক’। ২৫-৩০ মণের এসব গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ থেকে ২২ লাখ টাকা পর্যন্ত। 

একটি গরুর দাম ৩০ লাখ টাকাও হাঁকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক বিক্রেতা। 

অন্যদিকে দেশি-শাহীওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের গরুর চাহিদা বেশ তুঙ্গে।

দাম নিয়ে চলছে কষাকষি

পাশাপাশি চলছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের রশি টানাটানি। অনেকেই ৫-৭ লাখ টাকার গরুর জন্য শুরু করেন দর ৩-৪ লাখ থেকে। 

বিক্রেতারা বলছেন, গরু লালন-পালনে খরচ বেশি হওয়ায় কম দামে ছাড়তে নারাজ। 

অপরদিকে, ক্রেতারা বলছেন, "দাম শুনলেই গায়ে কাঁটা দেয়। তবে শেষ মুহূর্তে হয়ত একটু ছাড় মিলবে।"

বিক্রেতার লাভ, চাহিদা ও শঙ্কা

অনেক খামারি ও বিক্রেতা এবার ভালো লাভের আশা করছেন। গত বছর যেসব গরু ১ লাখে বিক্রি হয়েছে, এবার সেগুলো দেড় লাখ টাকার বেশি হাঁকানো হচ্ছে। বিশেষ করে মোটা তাজা, স্বাস্থ্যবান ও দেশি জাতের পশুর চাহিদা বেশি। তবে হাটে ঢোকা, খাজনা, চাঁদাবাজি ও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কাও রয়েছে।

ছাগল ও মহিষের বাজারও জমজমাট

গরুর পাশাপাশি হাটে প্রচুর ছাগল ও মহিষও এসেছে। সুন্দর গড়নের একটি সিন্দি জাতের ছাগল ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাঁকা হচ্ছে। আবার মহিষের ক্ষেত্রে দাম শুরু ১.৫ লাখ থেকে। ছাগলের ক্ষেত্রেও রয়েছে নানা নাম—‘রাজকন্যা’, ‘ডায়মন্ড’, ‘মিনি টারজান’ ইত্যাদি।

ঈদের এখনও কয়েকদিন বাকি। তাই হাটে ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন। শেষ সময়ে দাম কিছুটা কমতে পারে বলে ধারণা ক্রেতাদের। তবে বিক্রেতারা এখনই ভালো বেচাবিক্রির আশায় বুঁদ।

ইএইচ