জনপ্রশাসনে সচিব পদমর্যাদার পাঁচ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি চাকরি আইনের ৪৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী তাদের অবসরে পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পাঁচটি প্রজ্ঞাপনে তাদের অবসরে পাঠানো হয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ রফিকুল হক পাঁচটি প্রজ্ঞাপনেই স্বাক্ষর করেছেন।
অবসরে পাঠানো কর্মকর্তারা হলেন জাতীয় উন্নয়ন প্রশাসন একাডেমির রেক্টর (সচিব) ড. মো. সহিদ উল্লাহ, ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান (সচিব) মুহম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক (সচিব) কাজী এনামুল হাসান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সচিব) মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক (সচিব) সুকেশ কুমার সরকার।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, তাদের চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সরকার জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর করা প্রয়োজন মর্মে বিবেচনা করে বিধায় তাদের সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হয়েছে।
তারা বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি পাবেন বলেও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালযয়ের প্রজ্ঞাপনগুলোতে জানানো হয়েছে।
আইন অনুযায়ী, সরকার ২৫ বছর হয়ে গেলে একজন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠাতে পারে, কিন্তু সেজন্য সুনির্দিষ্ট কারণ কখনো প্রকাশ করা হয় না। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জনপ্রশাসনকে ঢেলে সাজানোর কাজ করছে। সেই প্রক্রিয়া এখনো অব্যাহত আছে।
আওয়ামী লীগ সরকার টানা প্রায় ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকাকালে নিজেদের লোক দিয়ে জনপ্রশাসনকে সাজিয়েছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার সেই চক্র ভেঙে ফেলার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। যদিও এখনো জনপ্রশাসনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে আওয়ামী লীগ সমর্থক কর্মকর্তারা বসে কলকাঠি নাড়ছেন বলে অভিযোগ উঠছে নানা মহল থেকে।
ইএইচ