আ.লীগ ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া কে এই মেজর সাদিক?

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম

ঢাকা সেনানিবাসে বৃহস্পতিবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সামরিক অপারেশনস পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উদ-দৌলা জানান, আওয়ামী লীগের বাছাইকৃত ক্যাডারদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে মেজর সাদিকুল হককে (ওরফে মেজর সাদিক) আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে রাজধানীর মিরপুর, ভাটারা, কাটাবন ও পূর্বাচল এলাকায় প্রায় ৪০০ নেতাকর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। গত ৮ জুলাই ভাটারা থানার একটি কনভেনশন সেন্টারে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারীদের দুই দিন আগেই টোকেন সরবরাহ করা হয়।

মেজর সাদিকুল হককে ১৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আটক করা হয়। 

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তিনি বর্তমানে তাদের হেফাজতে আছেন এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে সেনাবাহিনীর নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের ২২ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানা থেকে যুবলীগ নেতা সোহেল রানা ও আওয়ামী লীগের নেত্রী শামীমা নাসরিন (শম্পা) গ্রেপ্তার হয়েছেন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সূত্র জানায়, সোহেল রানা ও শম্পাকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তথ্য যাচাইয়ের পর মেজর সাদিকুল হককে হেফাজতে নেয়া হয়। তিনি বর্তমানে কক্সবাজারের রামু ক্যান্টনমেন্টে কর্মরত।

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, মেজরের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন তার স্ত্রী, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমাইয়া জাফরিন। তারা কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার সময় শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নেতাকর্মীদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করতেন।

সরকার উৎখাতের এই পরিকল্পনার সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছেন ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা। এছাড়া দিল্লিতে অবস্থানরত পলাতক অতিরিক্ত আইজিপি মনিরুল ইসলাম ও পলাতক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুজিবুর রহমান এই পরিকল্পনায় কৌশলগত সহায়তা দিচ্ছেন।

আইএসপিআর শুক্রবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা সংক্রান্ত অভিযোগে সেনা হেফাজতে নেওয়া ওই কর্মকর্তার বিষয়ে তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত শেষে আদালতের সুপারিশক্রমে সেনাবাহিনী তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

ইএইচ