স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হারানো বা লুট হওয়া অস্ত্রের সন্ধান দিলে সংশ্লিষ্টদের পুরস্কার দেওয়া হবে।
রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
উপদেষ্টা জানান, হারানো অস্ত্র উদ্ধার করতে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। একটি পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হবে এবং হারানো অস্ত্রের সন্ধান দেয় এমন ব্যক্তিদের কত টাকা দেওয়া হবে তা শিগগিরই মিডিয়াকে জানানো হবে।
গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা জাতি হিসেবে খুবই অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছি। এখন আর ধৈর্যের অভাব। আগে সমাজে কোনো অপরাধ ঘটলে মানুষ ঝাপিয়ে পড়ত প্রতিরোধের জন্য, কিন্তু এখন সবাই ভিডিও করে। অপরাধ প্রতিহত করা আমাদের ঈমানি দায়িত্ব, কিন্তু সমাজে কেউ এগুলো করছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সবসময় সব জায়গায় উপস্থিত থাকতে পারেন না। গাজীপুরের ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ ধরনের ঘটনা সমাজে কেউ চিন্তাও করতে পারেনি, কিন্তু ঘটেছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের বেশির ভাগকে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি। তবে চলে যাওয়া মানুষের ক্ষতিপূরণ আর হবে না। সুতরাং আমাদের ধৈর্যশীল হওয়া দরকার, তাহলে এসব ঘটনা কমবে।”
তিনি আরও বলেন, “অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এই ঘটনা খুবই দুঃখজনক এবং জনগণেরও দায়িত্ব অপরাধ প্রতিহত করা।”
উপদেষ্টা আরো বলেন, শেরপুরে একটি ভিডিও করার সময়কার ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, “সে ভিডিও করছে, অথচ তার নানীকে হত্যা করা হচ্ছে। এটা আমাদের সমাজের বড় অবক্ষয়। ইউটিউবের জন্য ভিডিও করছে, অথচ সাহায্যের জন্য কেউ এগিয়ে আসছে না।”
১১টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে তিনি জানান, এগুলো দেশি অস্ত্র। যারা এসব তৈরি করে, তাদেরও দৃষ্টি দিতে হবে। আমরা এসব অস্ত্র তৈরি করা ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। তারা জানে এই অস্ত্র কারা ব্যবহার করছে।
ইএইচ