‘দেশটাকে গড়ে তোলার পর পরই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছে’

আরিফুর রহমান, ঝালকাঠি প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২২, ০২:৫২ পিএম

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু এই দেশটাকে যখন গড়ে তুললেন ঠিক তখনই তাকে হত্যা করা হলো। পাকিস্তানের কায়দায় দেশটাকে সাজানো হয়। ৩১ বছর যারা ক্ষমতা ছিলেন এদেশের মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করার দূরের কথা তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে দিতে চেয়েছিলেন। তারা প্রধানমন্ত্রী যখন দেশে ফিরেন তাকেও ২১ বার হত্যার করার চেষ্টা করেছে।

সোমবার (২৩ মে) বেলা ১২ টায় ঝালকাঠি সরকারি কলেজ মিলনায়তনে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য সংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

আমির হোসেন আমু বলেন, আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি থাকাকালে মায়ানমার ও ভারত সরকারকে মাদক নির্মূলে সমঝোতা চুক্তি বৈঠকের আহ্বান করেছিলাম শুধুমাত্র ভারত বৈঠকে আসছিলো। তারা ৩৫০/৪০০ ফেন্সিডিল কারখানা ধ্বংস করেছিলো। কিন্তু মায়ানমার আমাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। তারাই ইয়াবা উৎপাদন করে আমাদের দেশের যুব সমাজকে ধ্বংস করতে সাপ্লাই দিতেছে। যে যেখানে মাদকসেবি দেখবেন সাথে সাথে আইনি পদক্ষেপ নিবেন।এই জিনিসটা আগামী প্রজন্মকে ধ্বংস করতে আছে। সুতরাং আজকে যারা মাদক সেবন করে তাদের সর্তক করতে ছাত্র সমাজকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। যারা মাদক সেবন করে তাদের ছাত্র লীগে যুবলীগের কোন পদ পাবেন না। 

তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, পড়াশুনায় মনোনিবেশ করতে হবে সেই সাথে খেলাধুলায় অংশ গ্রহন করতে হবে। এতে জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি রেজাল্ট ভালো সুস্থ শরীর হবে। সবমিলিয়ে দেশের ভবিষ্যত সম্পদ হিসেবে শিক্ষার্থীদের সঠিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। 

শিক্ষক ও অভিভাবকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে এমপি আমু বলেন, দেশকে ধ্বংস করতে বিদেশী শক্তিরা ষড়যন্ত্র করছে। এরদিকে শিক্ষক-অভিভাবক সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। পাশের বখাটে ছেলে মাদকসেবী কিন্তু আমার ছেলে তো ভালো আছে।  একসময় ওই মাদকসেবীরা তাদেরও প্রভাবিত করবে। এজন্য মাদক নির্মুলে যে যেখানেই মাদকসেবী দেখবে সেখানেই ব্যবস্থা নিবে। মাদকসেবীদের সন্তানরা বিকলাঙ্গ হয় এবং দাম্পত্য জীবনেও সুখী হতে পারে না। একসময় সন্তান ধারণের যোগ্যতাও হারায়।

অধ্যক্ষ প্রফেসর ইউনুস আলী সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহম্মদ ইউনুস, জেলা প্রশাসক জোহর আলী,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো শাহআলম, সাধারন সম্পাদক এডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির,  জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্না রসুল।

এসময় প্রধান অতিথি কলজে উন্নয়নে অধ্যক্ষের বক্তৃতায় করা দাবি সমূহ পুরণ করার আশ্বাস দিয়ে ১৯৬৫ সালে কলেজ প্রতিষ্ঠা থেকে শুরু করে বঅতমান পর্যন্ত ইতিহাস তুলে ধরেন।  

আমারসংবাদ/কেএস