জনবিচ্ছিন্ন দলের নাম বিএনপি: হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর

মামুন রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রকাশিত: জুন ৪, ২০২২, ০৭:১৮ পিএম

বিএনপি নিজেও জানে জনগণ তাদের সাথে নেই। আগামী নির্বাচনে ক্ষমতায় আসা তো দূরে থাক কিছু সংসদীয় আসন পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই বিএনপির। বিএনপি জনবিচ্ছিন্ন একটি রাজনৈতিক দল, ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তই তাদের রাজনীতির হাতিয়ার। আওয়ামী লীগ সরকার মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির ব্যবস্থা করেছে এবং দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে সহ্য করতে না পেরে বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনার ষড়যন্ত্রের নকশা আঁকছে। 

উপরোক্ত কথাগুলো বলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ অর্থ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম আওয়ামী রাজনীতির আইকন মানবতা প্রেমী হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। 

একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, বাংলাদেশ লক্ষ লক্ষ বাবর রয়েছে, যাদের শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্পর্শ পর্যন্ত করতে পারবে না। আজ তারা বলছে,পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা খুনি জিয়া একাত্তরের ঘাতকদের সাথে আঁতাত করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তির মদদে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে, যারা জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে, তাদের উত্তরসুরিরাই দিচ্ছে এই ধরনের স্লোগান। বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বারবার হত্যাচেষ্টা করার চেষ্টা হয়েছে।

তিনি বলেন, বিএনপির নেতা তারেক রহমান গ্রেনেড হামলা করে বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। আজকে যখন পদ্মাসেতু উদ্বোধন করা হবে এবং জাতীয় নির্বাচনের দেড় বছর আছে, দেশকে যখন উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা; তখন তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। 

ব্যালটের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে সরাতে পারবে না জেনে ষড়যন্ত্রকারীরা অন্য পথ বেছে নিয়েছে। পেছনের দরজা দিয়ে কীভাবে ক্ষমতায় আসা যায়, এজন্য তারা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাত করতে চায়। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো সতর্ক থাকতে হবে।

আজকে যখন বাংলাদেশে স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, তখন তারা শেখ হাসিনাকে হত্যার কথা বলছে। তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য একটাই, দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের উন্নয়নের বিপক্ষে দাঁড়ানো। তারা দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির বিরুদ্ধে। 

যদি সন্ত্রাসী কথাবার্তা বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করেন, তাহলে কঠোরভাবে মোকাবিলা করা হবে।উন্নয়নবিরোধী সব রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রতিহত করা হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। দেশের জনগণেই ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙা জবাব দিবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরানো যাবে না জেনে ষড়যন্ত্রের হত্যা-ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নেতাদের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য, হত্যার হুমকি ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ জানান এবং রাজপথে শেখ হাসিনার লক্ষ কোটি কর্মী মোকাবেলা করার প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান।