হরিরামপুরে পদ্মা নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার বন্ধের দাবি

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২২, ০৪:৩৯ পিএম

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদী থেকে  অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধ এবং ভাঙনরোধে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (৩ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপ 'পদ্মা ভাঙন থামাও, হরিরামপুর বাঁচাও'' আয়োজন করে এই মানববন্ধনের। এতে রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতাধিক ব্যক্তিবর্গ অংশ নেয়।

হরিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তারা প্রশাসনকে ব্যর্থ দাবি করে অবিলম্বে অবৈধ ও অপরিকল্পিতভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান। 

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা মানিকগঞ্জ। আর জেলার সবচেয়ে বড় এবং বেশি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত উপজেলা হরিরামপুর। যেখানে এক সময় ১৪টি ইউনিয়ন থাকলেও একটি নদীতে বিলুপ্ত হওয়ায় বর্তমানে ১৩টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। যার মধ্যে ১০টি ইউনিয়ন নদীভাঙনের স্বীকার। 

তারপরও কিছু স্বার্থান্বেষী মহল পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করে পদ্মার তীরবর্তী পরিবারগুলোকে ভাঙনের কবলে ফেলছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা বন্ধে তেমন কোন উদ্যোগ চোখে পরেনি, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তাই প্রশাসনকে ব্যর্থ বলেই দাবি করছি।

বক্তারা মানববন্ধনে বিভিন্ন জেলায় নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলেও হরিরামপুরে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নেই বলে দুঃখপ্রকাশ করেন। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে স্থায়ী বেড়িবাঁধের দাবি জানান। 

অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে গণস্বাক্ষর ও স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলেও জানান আয়োজকেরা।

মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, "পদ্মা ভাঙন থামাও, হরিরামপুর বাঁচাও" এর সমন্বয়ক ও স্বেচ্ছাসেক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহাবুদ্দিন আহমেদ (চঞ্চল), পাটগ্রাম অনাথবন্ধু সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক হরিপদ সূত্রধর, উপজেলার সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল বাশার সবুজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিদুর রহমান মহিদ ও পবিত্র কুমার শাখারী, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আমিনুর রহমান চৌধুরী (মিল্টন)।

আরও উপস্থিত ছিলেন-উপজেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব শহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা চায়না, সামাজিক সংগঠনের কর্মী তানভীর আহমেদ, হারুকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

এ বিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, "আমাদের অভিযান চালাতে দুই থেকে তিনটা দপ্তরকে অবগত করতে হয়। পরে, নদীর স্পটে পৌঁছাতে নৌযানে ৪০/৫০ মিনিট সময় লাগে। এছাড়া কোন না কোন ভাবে মোবাইল কোর্টের খবর তারা পেয়ে যায়। সেই সুযোগে ড্রেজার গুলো পার্শ্ববর্তী উপজেলায় সরিয়ে ফেলে। সেখানে আইনি জটিলতায় মোবাইল কোর্ট করা সম্ভব হয় না।"

আমারসংবাদ/এআই