চাঁপাইনবাবগঞ্জে যোগদানের পর থেকে মাদকের সরবরাহ হ্রাসে মাদকবিরোধী অপারেশনাল কার্যক্রম গতিশীল করার পাশাপাশি জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে মনোনিবেশ করেন মোহাম্মদ আনিছুর রহমান খাঁন।
তিনি ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন। এরপর থেকে মাদক সংক্রান্ত অপরাধের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে নিয়মিতভাবে অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি মাদক নিয়ন্ত্রণে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
মাদকের ক্ষতিকর দিক তুলে মাদকের চাহিদা হ্রাসের জন্য পরিচালনা করছেন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম। মাদকবিরোধী জনসচেতনতামূলক কর্মসূচির অংশ হিসেবে যুব সমাজকে মাদকের ছোবল থেকে রক্ষা করতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক আলোচনা সভা, বিভিন্ন প্রকার সমাবেশ, কর্মশালা, উঠান বৈঠক করছেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে মাদক নিয়ন্ত্রণে যৌথভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন।
এই জেলায় দায়িত্ব পালনের মধ্যেই ২০২১ সালের ২১ নভেম্বর তাঁকে সহকারী পরিচালক থেকে উপপরিচালক পদে পদোন্নতি প্রদান করা হয়। ফলে তাঁর দায়িত্ব ও কর্তব্য আরো বেড়ে যায়।
শুদ্ধাচার চর্চার মাধ্যমে মাদক নিয়ন্ত্রণে আগাগোড়ায় তিনি কার্যক্রম পরিচালনা করেন। শুদ্ধাচার চর্চায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করায় রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ে তাঁকে শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ফজলুর রহমান স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
মোহাম্মদ আনিছুর রহমান খাঁন আমার সংবাদকে বলেন-আমি চেষ্টা করেছি সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের। শুদ্ধাচার পুরস্কারের জন্য এ মনোনয়ন আমার দায়িত্বশীলতার স্বীকৃতি স্বরুপ। এর মাধ্যমে আগামীদিনে শুদ্ধাচার চর্চার সাথে আমার কর্মস্পৃহা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমি মনে করি।
তিনি ভবিষ্যতে সফলভাবে কাজ করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
আমারসংবাদ/এআই