তীব্র ভাঙ্গনে শ্রীহীন সৈকত

সফিউল আলম, কক্সবাজার প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২, ০৮:১২ পিএম

বৈরি আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত জুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র ভাঙ্গনের, বাদ যায়নি ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্সও। ভাঙ্গনের কবলে সৈকতে লবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টও পড়েছে চরম ঝুঁকিতে। ফলে পর্যটনের জন্য শ্রীহীন হতে পারে সৈকত এলাকা।

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে সাগর উত্তাল ছিল। এর কারণে সৈকত জুড়ে শুরু হয় তীব্র ভাঙ্গন। জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলরা ভাঙ্গন পরিদর্শনে এসে বলেন, প্রাথমিকভাবে ভাঙ্গন রোধে জিউ ব্যাগের কাজ করা হবে পরে স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে উত্তরের সমিতিপাড়া পর্যন্ত সৈকতের ভাঙ্গন দেখা দেয় গত ৪ বছর ধরে। যেখানেসেখানে অসংখ্য ঝাউগাছ বিলীন হয়ে গেছে। কিন্তু বুধবার জোয়ারে সৈকতে পর্যটকের কাছে সবচেয়ে প্রিয় লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত তীব্র ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে।

সৈকতের লাবণী পয়েন্টের ব্যবসায়ী মোহাম্মদ তুহিন জানান, গত ৪ বছর ধরে লাবণী পয়েন্টের উত্তরে সাগরের ভাঙ্গনে ঝাউগাছ বিলীন হয়ে যায়। লাবণী পয়েন্টের কিছু অংশও ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। এটা রক্ষার জন্য জিউ ব্যাগ দেয়া হয়। কিন্তু বুধবার জোয়ারে লাবণী পয়েন্টে ভাঙ্গন তীব্র হয়ে উঠে। যার কারণে সৈকতের বালিয়াড়ির বিশাল অংশ বিলীন হয়ে ভাঙ্গন কাছা-কাছি চলে এসেছে। যেখানে ট্যুরিস্ট পুলিশের বক্সও প্রায় বিলীনের পথে।

একই পয়েন্টের ব্যবসায়ী সরওয়ার আলম জানান, বালিয়াড়িতে কিটকট (বীচ ছাতা) সারিবদ্ধভাবে যেখানে রাখা হতে লাবণী পয়েন্টের ওই অংশ বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন চলে গেছে দক্ষিণের সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টেও। এসব পয়েন্ট পর্যটকের ভ্রমণের জন্য জনপ্রিয় পয়েন্ট। ফলে পর্যটন শিল্পেও এর প্রভাব পড়বে।

আগত পর্যটকদের কয়েকজন জানান, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে নামার প্রধান পথ হচ্ছে লাবণী পয়েন্ট। এ পয়েন্টে নামলেই সামনে ভাঙ্গন, যা পর্যটকের জন্য আতংকেরও বটে।

ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, সৈকতের তীব্র ভাঙ্গনের পুলিশের কয়েকটি স্থাপনা ঝুঁকিতে রয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েচে। এটা রোধে পরিবেশবান্ধব কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের ড. তানজির সাইফ আহমেদ জানান, প্রাথমিকভাবে ভাঙ্গন রোধে জিউ ব্যাগের কাজ চলমান রয়েছে। স্থায়ীভাবে বাঁধ নিমার্ণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।