বিএলআরআইয়ে জাতীয় শোক দিবস পালিত

শরিফ শেখ, সাভার প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২২, ০১:৪৭ পিএম

যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট বিএলআরআই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিক উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালনের কর্মসূচি শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও অর্ধনমিত করেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।

এরপর সকাল নয়টার দিকে বিএলআরআই-এর প্রশাসনিক ভবনের সামনে স্থাপিত অস্থায়ী বেদিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ, প্রকল্প পরিচালকগণ, শাখা প্রধানগণসহ সকল স্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সকাল দশটার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে প্রাণিসম্পদ ইনস্টিটিউটের চতুর্থ তলার সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন। অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।

আলোচনা সভায় অতিথিদের পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ বক্তব্য রাখেন এবং বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানান সংগ্রাম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও দেশের প্রতি তার অবদান সম্পর্কে আলোচনা করেন এবং ১৫ আগস্টের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের শাস্তি দাবি করেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড: এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি জাতির মুক্তির মহানায়ক।

১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের কালো রাতে মানব সভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম জঘন্যতম ঘৃণিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের একটি দিন। এই দিনে বঙ্গবন্ধুর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িতে মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত ঘাতক চক্রের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দিনে সপরিবারে হত্যা করে। হত্যা করে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব শিশু পুত্র শেখ রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুর সপরিবারের সবাইকে হত্যা করে। জাতি আজ শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছে ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের। একই সাথে আমরা সকল শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া প্রার্থনা করি। ড: এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন‍‍` আরো বলেন। সময়ের পরিক্রমায় জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ দেশ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আজকের এই দিনে আমাদের শপথ হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করব জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো ইনশা আল্লাহ।

এসময় তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য কি কি করে গেছেন তা বোঝার জন্য আমরা যদি কেবল স্বাধীনতার পূর্ববর্তী সময় ও পরবর্তী সময়ে বাঙালিদের অবস্থান দেখি, তাহলে সহজেই আমরা তাঁর অবদান বুঝতে পারবো। স্বাধীনতার পূর্বে সকল ক্ষেত্রেই বাঙালি ছিলো বঞ্চিত, শোষিত। বঙ্গবন্ধু আমাদের যেমন একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন, তেমনি ভাবে আজকে আমরা ব্যক্তিগত জীবনে এই যে বড় বড় অবস্থানে এসেছি, তার পিছনেও বঙ্গবন্ধুর অবদান। আমাদের দেশের আজকের সকল প্রকার অগ্রযাত্রার পিছনেই রয়েছে বঙ্গবন্ধুর অবদান, তার চিন্তার বাস্তবায়ন।

দিনের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে বিএলআরআই কেন্দ্রীয় মসজিদে কুরআনখানি ও বাদ জোহর জাতির পিতা ও তার পরিবারের সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

এছাড়াও বিএলআরআই-এর আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, জাতির পিতা প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণসহ সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা কর্তৃপক্ষের সাথে সমন্বয় করে আঞ্চলিক কেন্দ্রসমূহ নিজ নিজ কর্মসূচি পালন করা হয়।

কেএস