সাভারে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ

সাভার প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২২, ০৫:২২ পিএম

ঢাকার সাভারের জালেশ্বর এলাকায় খাদেমুল কোরআন মডেল মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের দ্বারা পাশবিক নির্যাতন ও বলাৎকারের শিকার হয়েছে তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্র। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করা হলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো ভুক্তভোগী শিশুটির অভিভাবককে ঘটনা ধামাচাপা দিতে হুমকী দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নির্যাতনের শিকার শিশুটির অভিভাবক জানায়, গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে খাদেমুল কোরআন মডেল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী তুহিন এবং আইয়ুব প্রকাশ্যে ভুক্তভোগী শিশুটিকে ধরে পাঁচ তলার বাথরুমে আটকিয়ে পায়ূ পথে বোতল এবং কলম ঢুকিয়ে নির্যাতন চালায়। শিশুটি বাঁচতে আর্ত চিৎকার করলেও এ সময় কেউ এগিয়ে আসেনি। বরং তুহিন ও আইয়ুব বলাৎকার করে ওই শিশুটিকে।

অভিযোগ আছে, ঘটনার পরে ভুক্তভোগী শিশুর অভিভাবক এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করলেও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ শিশুটির চিকিৎসায় কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উল্টো অভিভাকদের হুমকী দিয়েছেন অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল মতিন। পরে আজ (বুধবার) তারা নিরুপায় হয়ে ট্রিপল নাইনে কল করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। এরই মধ্যে অভিযুক্ত শিশুদের সড়িয়ে ফেলেন অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল মতিন।

এলাকাবাসীরা জানান, বিভিন্ন সময় খাদেমুল কোরআন মডেল মাদ্রাসায় শিশু শিক্ষার্থীদের বলাৎকারসহ বিভিন্ন অপরাধ সংগঠিত হয়। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এসব ব্যাপারে কখনও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে ক্ষমতা দেখিয়ে কথা বলেন। আজ শিশুটির উপর যে নির্যাতন হয়েছে তার সুষ্ঠু বিচায় হওয়া দরকার।

খাদেমুল কোরআন মডেল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শেখ আব্দুল মতিন বলেন, শিশুটির মাথা ফেটে রক্ত ঝড়ছিল। আমি তাঁকে সেভলন দিয়ে রক্ত মুছিয়ে দেই। পরে জানতে পারি তাকে শিক্ষার্থীরা পাশবিক নির্যাতন ও বলাৎকার করেছে। বিষয়টির কোন প্রকার সমাধান না করে অভিযুক্তদের সড়িয়ে ফেলা হয়েছে বলেও তিনি স্বীকার করেন।  

আমারসংবাদ/এসএম