অভয়নগরে পরিকল্পিত মৎস্যঘের স্থাপনে ১০ নির্দেশনা

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২২, ০৬:৩০ পিএম

অভয়নগর উপজেলার সকল মৎস্যখামারী, ঘের মালিক, পুকুর মালিকগণের অবগতির জন্য ভবদহ এলাকায় মৎস্যঘের স্থাপন নীতিমালা ২০১৯ অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক সৃষ্ট জলাবদ্ধতা নিরসন ও পরিকল্পিতভাবে মৎস্যঘের স্থাপনের কৌশল হিসেবে গণবিজ্ঞপ্তি আকারে ১০টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য অফিস কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনাগুলো হলো- সরকারি খাল, সরকারি জমি, নদীর পাড় ও নদীর মধ্যে ঘের স্থাপন করা যাবে না। ঘের স্থাপন করতে হলে ঘের মালিককে নিজ খরচে বাঁধ/ পাড় তৈরি করতে হবে। ঘেরের বাঁধের সাথে সরকারি রাস্তা থাকলে বাঁধের উচ্চতা রাস্তা অপেক্ষা কম হতে হবে। পানি নিষ্কাশনের সুবিধার্থে প্রত্যেক ঘের মালিককে ঘেরের বাঁধ/ পাড়ের বাইরে কমপক্ষে আড়াই ফুট করে জায়গা ছাড়তে হবে, অর্থাৎ উভয় ঘেরের পাড়ের মধ্যখানে কমপক্ষে ৫ ফুট জায়গা থাকবে যা পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত হবে।

সরকারি রাস্তা, স্থাপনা এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়ি বাঁধকে ঘেরের বাঁধ বা পাড় হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না এবং পানি নিষ্কাশনে কেউ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারবে না। মৎস্যঘের স্থাপনের ক্ষেত্রে জমির শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না। ভবদহ এলাকার পরিবেশ ও পরিবেশগত ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর কোন অপদ্রব্য/ বর্জ্য মৎস্যের খাবার বা ঘেরের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য অথবা অন্য কোন কারণে ব্যবহার করা যাবে না। পানির প্রবাহ এলাকায় কোন বক্সকালভার্ট নির্মাণ করা যাবে না। নদী, শাখা নদী, খাল ও সরকারি খাসজমি দখল করে ঘের স্থাপন করা যাবে না।

উল্লেখিত নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে গণবিজ্ঞপ্তিতে হুশিয়ারী প্রদান করা হয়েছে।

কেএস