কুষ্টিয়ায় একটি হত্যা মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানসহ ৬ জনকে যাবজ্জীবন ও ৩জনকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। একই সঙ্গে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদেরকে ২০ হাজার টাকা করে ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্তদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যাবজ্জীবন দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বিশ্বাস (৫৩), তার ভাই হাবিল উদ্দিন বিশ্বাস (৪৯), বাবলু বিশ্বাস (৪৬), একই গ্রামের আক্তারুজ্জামানের ছেলে মাহমুদুল হাসান সবুজ, কামরুজ্জামান বিশ্বাসের ছেলে রাশেদুল ইসলাম বিদ্যুৎ (৩৪) ও মৃত জলিল গাইনের ছেলে মাসুদ গাইন (৩৮)।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মাসুদ গাইন ও বিদ্যুৎ পলাতক রয়েছেন। রায় ঘোষণার পর পরই তাদেরকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলায় অপর তিনজনকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ মামলায় ১৫ জন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার দহকুলা গ্রামে ২০১৬ সালের ২৮ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মোল্লা মাসুদ করিম লাল্টুকে কুপিয়ে হত্যা করে আসামিরা। নিহতের ভাই মাহবুবুল করিম মোল্লা আসামিদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে ২৪জনকে আসামি করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। নিহত মোল্লা মাসুদ করিম লাল্টু দহকুলা গ্রামের সোহরাব উদ্দিন মোল্লার ছেলে।
মামলা তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের ৪ জানুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলাটি স্বাক্ষ্য প্রমাণে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে হত্যা মামলায় দোষী প্রমাণিত হওয়ায় ছয় আসামিকে যাবজ্জীবন ও ৩ আসামিকে ৫ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
কেএস