নাব্যতা হারিয়ে মরা খালে পরিণত মহারশী নদী

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৪, ২০২২, ০৩:২২ পিএম

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলা মহারশী নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠে ঐতিহ্যবাহী একটি বড় বাজার। উক্ত বাজারটিতে সব ধরনের কৃষি পণ্য সহ গরু ছাগল ও মহিষের বেচাকেনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়।

উল্লেখ্য এই মহারশি নদী দিয়ে দূর দূরান্ত থেকে নৌকা যুগে বিভিন্ন ধরনের পণ্য ক্রয় বিক্রয়ের জন্য বাজারে নিয়ে আসতো। এছাড়াও নৌকা যুগে বহু লোকজন চলাচল করতো এই নদী পথে। নদীর পানি দিয়ে উভয় পাশে জমিতে বোর সহ নানা জাতের কৃষি ফসল ফলাতো এই নদীর পানি সেচ দিয়ে চাষাবাদ করতো। কিন্তু নদী এখন নাব্যতা হারিয়ে পানি শূন্য হওয়ায় নদীর উভয় পাশের জমি আর নদীর পানিতে চাষাবাদ হয় না। নদীটি নাব্যতা হারানোর ফলে বর্ষা মৌসুমে উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানি ও ভারি বর্ষণের পানি নদী দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে না। যে কারণে নদীর উভয় পাড় ভেঙ্গে ফসলি জমিতে বন্যার পানি প্রবাহিত হয় এবং নদীর পাড়ের বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়।

চলতি বছরের বর্ষা মৌসুমে বন্যার সময় বন্যায় বহু বাড়ি-ঘর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ নদীর পাড় ভেঙ্গে ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই উক্ত নদীটির নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে হলে জরুরি ভাবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীটি পূনঃখনন করে নদী পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা জরুরি দরকার। প্রকাশ থাকে যে এই মহারশি নদীটি ভারতের আসাম ও মেঘালয় থেকে উৎপত্তি হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। মহারশি নদীটি ঝিনাইগাতি উপজেলা দিয়ে প্রবেশ করে শেরপুর জেলার মধ্য দিয়ে ব্র‏হ্মপুত্র নদে যুক্ত হয়েছে।

নদীর পূর্বের ঐতিহ্য হারানোর ফলে এক দিকে যেমন কৃষি উৎপাদনে ক্ষতি সাধন হয়েছে তেমনি বাজার উন্নয়নেও ব্যাপক বাধাগ্রস্ত হয়েছে। নদীটি নাব্যতা হারানোর ফলে কৃষি ও বাণিজ্যিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। উক্ত নদীটি বর্তমানে নাব্যতা হারিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে।

এসএম