মির্জাগঞ্জে গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে স্কুল ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের চৌকিদার (গ্রাম পুলিশ)মোঃ মনিরুজ্জামান বাদশা’র বিরুদ্ধে স্কুল পড়ুয়া দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনে শিকার মোঃ উজ্জল আকন (১৬) উপজেলার গাবুয়া জনতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে (উজ্জল আকন) ওই ইউনিয়নের বৈদ্যপাশা গ্রামের আফজাল আকনের ছেলে।

এই ঘটনায় বিচার চেয়ে চৌকিদার বাদশা’র নামে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এর নিকট গত শনিবার বিকালে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিত স্কুল ছাত্র মোঃ উজ্জল আকন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত চৌকিদার মোঃ মনিরুজ্জামান বাদশা ও স্কুলছাত্র উজ্জল আকন একে অপরের প্রতিবেশী। দীর্ঘদিন ধরে ওই কিশোরের পরিবারের সাথে চৌকিদারের জমি সংক্রান্ত  বিরোধ চলে আসছিল। ওই কিশোর রোববার (১৫ জানুয়ারি) রাতে স্থানীয় আকন বাড়ির মাঠে ব্যাডমিন্টন খেলতে যায়। খেলার এক পর্যায়ে সেখানে স্থানীয় সবুজ মোল্লা ও নুর আলম মোল্লার সাথে মোঃ মুন্না ও তালহা খানের খেলা নিয়ে বাকবিতন্ডাসহ মারামারি হয়। তখন সেখানে কিশোর উজ্জল আকন উপস্থিত থাকায় মারামারি ছাড়ানোর চেষ্টাকালে চৌকিদার বাদশা সেখানে গিয়ে কোনকিছু না জেনেই পূর্ব শত্রুতার জেরে স্কুল ছাত্র উজ্জ্বলকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটায়।

এসময় তার চিৎকার শুনে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ীতে নিয়ে যান স্বজনরা।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত চৌকিদার মোঃ মনিরুজ্জামান বাদশা মুঠোফোনে বলেন, পোলাপানে ব্যাডমিন্টন খেলার সময় মারামারি করছে। তখন আমি ছাড়িয়ে দেওয়ার সময় ওরে (নির্যাতিত কিশোর) দুইটি বারি (পিটান) দিয়েছি। তবে বিষয়টি চেয়ারম্যান মীমাংসা করে দিয়েছেন।

কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাহাবুব আলম স্বপন বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়ে উভয় পক্ষকে ডেকেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

কেএস