কনকনে শীত উপেক্ষা করে বোরো আবাদে ব্যস্ত চাষি

রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২৩, ০৭:৩০ পিএম

মাঘের কনকনে শীত উপেক্ষা করে বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার চাষিরা।

উপজেলার হলদিয়া, ডাবুয়া, চিকদাইর, গহিরা ও নোয়াজিশপুর ইউনিয়নসহ আরো অন্যান্য কৃষকরা এখন বীজতলা থেকে চারা উঠিয়ে জমিতে রোপণ করতে শুরু করেছে।

প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই কোমর বেঁধে ফসলের মাঠে নেমে পড়ছেন কৃষক-কৃষাণীরা।

কুয়াশায় ঢাকা শীতের সকালে বীজতলায় ধানের চারা পরিচর্যার পাশাপাশি জমি চাষের কাজ চলছে পুরোদমে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

নদীর পাড়ে, খালের ধারে, রাস্তার পাশের জমিতে, বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠে ধানের কচি চারার সবুজ গালিচা। কোথাও গভীর নলকূপ থেকে চলছে জলসেচ আবার কোথাও চলছে ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষের কাজ।

বোরো ধান রোপণের জন্য বীজতলা থেকে তোলা হচ্ছে ধানের চারা। চলছে জমি প্রস্তুত, ক্ষেত পরিচর্যা আর বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপণের কাজ।

কৃষকরা বলেছেন, এবার প্রতিটি ইউনিয়নে বোরো চাষাবাদের জন্য সেচ সুবিধা নিশ্চিত করায় বোরো চাষে আগ্রহী হয়েছে। হলদিয়া পাহাড়ের পাদদেশে থাকা শত শত একর জমিতে এখন উৎসবমুখর পরিবেশে জমিতে চারা লাগাতে দেখা গেছে সমতল-পাহাড়ের নারী পুরুষরা।

এ কাজে নিয়োজিতদের মধ্যে কেউ বীজতলা থেকে বীজ উঠাচ্ছে, আবার কেউ কেউ চারা লাগাচ্ছে।বীজতলায় চারা উঠানোর কাজে নিয়োজিত উপজাতি নারী মমচিং বলেছেন তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে জোটবদ্ধ হয়ে মাঠে কৃষিকাজ করেন। একে অপরের জমিতে কাজ করেন বিনা পারিশ্রমিকে।

আবার কোনো উপজেলা নারী কামলা হিসাবে কৃষিকাজে নিয়োজিত আছেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসাইন বলেছেন, এবার কৃষকদের সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করে দিয়েছেন এলাকার স্থানীয় সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি। এ কারণে বোরো চাষে কৃষকরা তুলনামূলক আগেই চাষাবাদে নেমেছে। 

জানা যায়, রাউজানে এবার বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা লক্ষ্যমাত্রা ছয় হাজার দুইশ হেক্টর। এর মধ্যে হাইব্রিড ১২ শত হেক্টর উফশি পাঁচশ হেক্টর। এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে এক হাজার ৫০ হেক্টর হাইব্রিড ও উফশি ৪শ হেক্টর। তিনি আশা করছেন এবার ৪৪৫ হেক্টর পতিত জমি বোরো চাষের আওতায় আসবে।

এআরএস