সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৩, ১১:৫৪ পিএম

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্বামীকে বেঁধে রেখে এক নারী শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে (৯৯৯) ফোন পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি পালিয়ে গেছেন। শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। 

সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে টহলরত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের শিকার নারীকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের একজন সদস্য। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ভুক্তভোগীর খালাত ভাই সুজন আহমেদ টিপু বলেন, খালাত বোন স্বামীকে নিয়ে শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় কেশবপুরস্থ ইনফিনিয়া কারখানায় চাকরি করতে যাচ্ছিলেন। ওই সময় সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (৯নং ওয়ার্ড) রবিন চৌধুরী মাতাল অবস্থায় তার ৪-৫ জন সহযোগীকে নিয়ে দেশীয় অস্ত্রের মুখে আমার খালাত বোন ও তার স্বামীকে জিম্মি করে। পরে ইউপি সদস্যের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে নিয়ে যায়। স্বামীকে কক্ষের একটি খুঁটিতে বেঁধে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে রবিন ও তার সহযোগীরা। পরে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। 

তিনি জানান, এ সময় রবিনের সহযোগীরা নারীর গলার চেইন, কানের দুল ছিনিয়ে নেন। পরে ওই নারী জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করে ধর্ষণের বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারী ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে। 

এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর ওই ইউপি সদস্য মাতাল অবস্থায় ভাটিয়ারীর মাদামবিবিরহাট এলাকায় ইমাম হোসাইন জামে মসজিদের মুসল্লিরা ফজরের নামাজ পড়ে বের হওয়ার সময় হামলা করেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে। 

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, মাতাল অবস্থায় মসজিদে মুসল্লিদের মারধরের বিষয়টি শুনেছি। তবে লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।