মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে চোখ হারালেন বৃদ্ধা 

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) প্রতিনিধি  প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২৩, ০৯:৩৪ পিএম

কুমিল্লার দেবিদ্বারে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসে ২ পক্ষের ঝগড়া থামাতে গিয়ে চোখ হারাতে বসেছেন রুবি বেগম নামে এক বৃদ্ধা।  শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টায় উপজেলার সুবিল ইউনিয়নের ঘোষঘর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় রুবি বেগম ছাড়াও তার মেয়ে শাহনাজ বেগম গুরুতর আহত হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।  

এ ঘটনায় শুক্রবার সন্ধ্যায় দেবিদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত রুবি বেগমের মেয়ে মোসা.কোহিনুর আক্তার। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও অভিযোগ সূত্র থেকে জানা গেছে, গত বুধবার রুবি বেগম তাঁর মেয়ের বাড়ি সুবিল ইউনিয়নের ঘোষঘর গ্রামে বেড়াতে আসেন। শুক্রবার দুপুরে শাহনাজ বেগম তার বাড়ির বর্জ্যে পানি নিষ্কাষনের পাইপ বসাতে গেলে প্রতিবেশী দুলাল মিয়া ও তাঁর স্ত্রী, ছেলে, মেয়েরা বাঁধা দেন। 

এতে ২ পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে রুবি বেগম দুই পক্ষকে থামাতে গেলে দুলাল মিয়ার ছেলে সাইদুল কোদাল দিয়ে রুবি বেগমের চোখে কোপ দেয় এতে তাৎক্ষনিক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রুবি বেগম। এ ঘটনায় মেয়ে শাহনাজ বেগমও গুরুতর আহত হয়।   

আহত রুবি বেগমের মেয়ে বাদি মোসা. কোহিনুর বেগম বলেন, তাঁরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমার মায়ের বাম চোখ সর্ম্পূণ নষ্ট হয়ে গেছে। আমার বোন শাহনাজও গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের দুইজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় আমি দেবিদ্বার থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত দুলাল মিয়ার স্ত্রী রিনা আক্তার বলেন, কার আঘাতে চোখে লাগছে আমরা দেখিনি। চোখে সামান্য আঘাত লাগছে। তাঁরাই প্রথম আমাদের মারধর করতে কোদাল নিয়ে আসে। আমার ছেলে চোখে আঘাত করেনি।    

দেবিদ্বার থানার  অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন,  আহত রুবি বেগমের মেয়ে কোহিনুর আক্তার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। একজন তদন্ত কর্মকর্তা  বিষয়টি তদন্ত করছেন। তদন্তে প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

আরএস