বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে ঘুঘু পাখি অবমুক্ত ও আলোচনা

নোয়াখালী প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৩, ০৪:১৫ পিএম

সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতিকে সাজিয়েছেন বন্যপ্রাণী, উদ্ভিদ আর পরিবেশের অন্যান্য উপাদান দিয়ে। মানুষের লোভের কারণে বনভূমি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির বন্ধু বন্যপ্রাণী। ফলে ভারসাম্য হারাচ্ছে প্রকৃতি। 
প্রতিশোধ হিসেবে প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানছে। বজ্রপাত, সুনামি, সুপারসাইক্লোনসহ নানারকম প্রকৃতিক দুর্যোগ সময়ে-অসময়ে হানা দিয়ে জীবন-জীবিকা তছনছ করে দিচ্ছে।

২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০১৪ সালে প্রথম এ দিবসটি পালন করা হয়। বিশ্বের বন্যপ্রাণী এবং উদ্ভিদকুলের প্রতি গণসচেতনতা বৃদ্ধি করা এই দিবসের মূল লক্ষ্য।

তাই  প্রতিবছরের মত নোয়াখালীর উপকূলীয় বন বিভাগ, নোয়াখালী কর্তৃক আয়োজিত বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস উপলক্ষে ৩টি ঘুঘু পাখি অবমুক্ত করণের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয় এবং পরবর্তীতে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে, ‘সকলের অংশগ্রহণ, বন্যপ্রাণী হবে সংরক্ষণ’।

নোয়াখালী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, মো: ফরিদ মিঞার সভাপতিত্বে উক্ত অনষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর৷ জেলা প্রশাসক মো: আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন লক্ষ্মীপুর সহকারী বন সংরক্ষক, মো: ফিরোজ আলম চৌধরী, পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশন করেন, উপকূলীয় বন বিভাগ নোয়াখালীর বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা, ইব্রাহীম খলিল, এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন কর্মকর্তাগণ, বন বিভাগের  কর্মকর্তাগণ, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ এবং গণমাধ্যম কর্মীগণ।

আবাসস্থল হারিয়ে ক্রমেই হুমকি বাড়ছে দেশের বন্যপ্রাণীর। অনেক বণ্যপ্রাণী বাসস্থান হারিয়েছে। আবার বন উজাড়ে হ্রাস পাচ্ছে তাদের খাদ্যের জোগান। ফলে উদ্বাস্তু প্রাণীরা মানুষের ঘরবাড়িতে হানা দিচ্ছে। বাংলাদেশে চার ধরনের বন্যপ্রাণী এই হুমকির মুখে রয়েছে। এরা হচ্ছে উভচর, সরীসৃপ, পাখি ও স্তন্যপায়ী।

এ বছর বিশ্ব বন্যপ্রাণী দিবস শুক্রবার হওয়ায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়েরর বন অধিদপ্তরের উদ্যোগে রোববার এই দিবসের কর্মসূচি পালন করা হয়।