সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনিয়মের ভিডিও ভাইরাল

নান্দাইলে ইটের রাবিশ দিয়ে মাদ্রাসার ছাদ ঢালাই

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৩, ০৭:৩৩ পিএম

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ইটের রাবিশ তথা ইটের গুড়ার সাথে বালি ও সিমেন্ট মিশ্রিত করে চালিয়ে যাচ্ছিল চারতলা বিশিষ্ট মাদ্রাসার ভবনের জলছাদ ঢালাইয়ের কাজ। আকাশ ভূইয়া নামে এক যুবক উক্ত অনিয়ম দেখতে পেয়ে স্থানীয় জনগণের সহযোগীতায় নির্মাণ কাজে বাধা দেয় এবং তা তাঁর ফেসবুক লাইভে প্রচার করে। এসময় উক্ত নির্মাণ কাজের ঠিকাদার ফারুক মন্ডল যুবকের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ফেসবুক বন্ধ করার জন্য প্রথমে অনুরোধ জানালেও পরে লাইভ বন্ধ না করায় বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান করে।

এমনটি ঘটেছে নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের পূর্ব দরিল্লা হোছাইনিয়া দাখিল মাদ্রাসার নতুন ভবন নির্মাণ কাজে। বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়ায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ন্যায় পূর্ব দরিল্লা হোছাইনিয়া দাখিল মাদ্রাসার পুরাতন ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করায় চারতলা বিশিষ্ট নতুন ভবন বরাদ্দ করা হয়। কিন্তুু নতুন ভবন নির্মাণ কাজে চলছে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতি। ভবনটির মূল ভিত্তি থেকেই অনিয়ম করে আসছিল মন্ডল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মালিক ফারুক মন্ডল। অনিয়মের কারনে ভবনের ২টি পিলার (কলাম) ভেঙ্গে আবার নতুন করে তৈরি করা হয়।

এছাড়া ভবনের ভিমের ঢালাই কাজে ভাইব্রেটার মেশিন সঠিকভাবে ব্যবহার না করায় ভবনের ভিমের ভিতর ফাপা জায়গা রয়ে গেছে বলেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারনা। এরকম ভবনের কাঠামোগত গঠনে রয়েছে অনেক ত্রুটি। সেন্টারিং খুটি নূন্যতম ৩ সপ্তাহের পর খোলার কথা থাকলেও ২ সপ্তাহ যেতে না যেতেই তা খুলে ফেলা হয়েছে। এতে করে নতুন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ থেকে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁর উপর ভবনের ছাদ ঢালাইয়ে কাজে নানাবিধ ত্রæটি ধরা পড়েছে। সরজমিন গিয়ে জানাগেছে, শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াই ইটের রাবিশ দিয়ে যেনতেন ভাবে জল ছাদের ঢালাই কাজ করা হচ্ছিল। পরে স্থানীয় যুবক ও সাধারন জনগণ এতে বাধা প্রদান করায় কাজ ছেড়ে পালিয়েছে ঠিকাদার ও নির্মাণ কাজে সহযোগী কারিগররা।

এ বিষয়ে ঠিকাদার ফারুক মন্ডল বলেন, আমি সিডিউল মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছি। কোথাও কোন অনিয়ম নেই। এলাকার লোকজন  অহেতুক চাপ সৃষ্টি করায় কাজ করা যাচ্ছেনা। তারা কি চায় ? প্রয়োজনে কাজ বন্ধ থাকবে। আমি প্রতিষ্ঠানের কাজ করি। আপনারা যা পারেন তা করেন। তবে ভবনের দুটি কলাম ভাঙ্গা এবং নতুন ভাবে নির্মাণের বিষয় জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।

এ দিকে ময়মনসিংহে জেলা সহকারী শিক্ষা প্রকৌশলী ফখরুল ইসলাম বলেন, উক্ত ভবন নির্মাণে দুটি কলামের ত্রæটি ছিল বিধায় তা ভেঙ্গে আবার নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। জলছাদ ঢালাইয়ের কাজে ঠিকাদার আমাদেরকে জানান নাই। সরকারি ছুটির দিনে তিনি গোপনে এ কাজ করেছে বলে শুনেছি। ইটের রাবিশ দেওয়া নিত্যান্তই অন্যায়। এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আমরা বিষয়টি অবহিত করবো।  

আরএস