জাটকা শিকারের অপরাধে তিন জেলের কারাদণ্ড

বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৯, ২০২৩, ০২:৫৬ পিএম

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পায়রা নদীতে জাটকা ইলিশ শিকারের অপরাধে বরগুনা জেলার তালতলীতে তিন জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত আনোয়ার তুমপা এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মজিবর গাজি (৩২), মো. সোলাইমান (২৫) ও ছিদাম (৫০)। দণ্ডপ্রাপ্ত সকলের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নে।

জানা যায়, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধিতে ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত নদীতে জাটকা ইলিশ শিকার, পরিবহন ও আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তবে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে জেলেরা পায়রা নদীতে জাটকা ইলিশ শিকার করছিল। মঙ্গলবার সকালে পায়রা নদীতে মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে জাটকা ইলিশ শিকাররত অবস্থায় মজিবর গাজি (৩২), মো. সোলাইমান (২৫) ও ছিদাম (৫০) নামের তিন জেলেকে আটক করে। পরে তাদের তালতলী ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

আদালতের বিচারক ও নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুমপা তাদেরকে এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। এ অভিযানে ৩৯ টি নিষিদ্ধ বেহুন্দি জাল,  এক লাখ ৬০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও চায়না দুয়ারীসহ জাটকা ইলিশ জব্দ করা হয়। যার অনুমানিক মূল্য ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা বলে জানান মৎস্য বিভাগ। জব্দ করা জাটকা ইলিশ স্থানীয় এতিমখানায় বিলিয়ে দেওয়া হয় ও জব্দকৃত জালগুলো আগুনে ফেলা হয়েছে।

তালতলী উপজেলা  মেরিন ফিসারীজ অফিসার কৃষিবিদ মো. ওয়ালীউল্লাহ শুভ বলেন, মৎস্য বিভাগ ও কোস্টগার্ড পায়রা নদীতে যৌথ অভিযান চালিয়ে তিন জেলেকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত জেলেদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

বরগুনার তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা ইলিশ শিকারের অপরাধে মৎস্য আইনের ৫ ধারায় তিন জেলেকে এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।

এআরএস