মুজিবশত বর্ষের ঘর ভেঙ্গে দ্বিতল ইমারত ও মুরগীর ঘর নির্মাণ

বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১৭, ২০২৩, ০৮:৫৪ পিএম

মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ঘর দেলোয়ার তালুকদার ভেঙ্গে মুরগীর পাকা ঘর নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মুল ঘর ভেঙ্গে দ্বিতল ইরামত নির্মাণ করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে আমতলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট নীলগঞ্জ গ্রামে। এ ঘটনায় এলাকার চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত এমন কাজের সাথে জড়িত দেলোয়ার তালুকদারের শাস্তি দাবী করেছেন এলাকাবাসী। দেলোয়ার তালুকদারের ছেলে কাওসার বলেন, আমরাতো সরকারের কাছে ঘর চাইনি। চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা ঘর দিয়েছেন। এখন ভেঙ্গে বড় ঘর নির্মাণ করেছি।

জানাগেছে, উপজেলার ছোট নীলগঞ্জ গ্রামের বিত্তশালী দেলোয়ার তালুকদারের স্ত্রী কুমসুম বেগমকে ২০২১ সালে আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ঘর বরাদ্দ দেয়। অভিযোগ রয়েছে , বরাদ্দকৃত ঘর নির্মাণ না করেই চেয়ারম্যানের সহযোগী মোঃ মিজানুর রহমান তার স্বামী দেলোয়ার তালুকদারকে কিছু টাকা দেয়। ওই টাকা দিয়ে দেলোয়ার তালুকদার ঘর নির্মাণ করেছেন। দেলোয়ার তালুকদারের ছেলে কাওসারের অভিযোগ, চেয়ারম্যানের সহযোগী মিজানুর রহমান যে টাকা দিয়েছে ওই টাকা দিয়ে বাবা ঘর নির্মাণ করেছে। ঘর নির্মাণের পুরো টাকা চেয়ারম্যানে সহযোগী মিজান দেয়নি। এদিকে গত এপ্রিল মাসে দেলোয়ার তালুকদার ওই ঘর ভেঙ্গে দ্বিতল ইমারত নির্মাণ করছেন। মুজির বর্ষের ঘরের ইট ও টিন দিয়ে দ্বিতল ইমারতের পার্শ্বে একটি মুরগীর পাকা ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। দেলোয়ার তালুকদারের ছেলে কাওসার আরো বলেন, আমি ও আমার বড় বোন চাকুরী করি, তাই মুজিব বর্ষের ঘর ভেঙ্গে দ্বিতল ঘর নির্মাণ করেছি। তাতে অপরাধ কি?

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দেলোয়ার তালুকদার মুজিব শতবর্ষ ঘরের একাংশ ভেঙ্গে তার উপর দ্বিতল ইমারত নির্মাণ করেছেন। ওই ভাঙ্গা ঘরের ইট ও টিন দিয়ে দ্বিতল ইমারতের পাশে পাকা মুরগীর ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। মুজিব শত বর্ষের সাইন বোর্ড নামিয়ে ফেলা হয়েছে। 

মুজিবশত বর্ষের ঘরের মালিক মোসাঃ কুলসুম বেগম বলেন, পোলা মাইয়্যা চাকরী হরে হেইয়্যার লইগ্যা ঘর ভাইগ্যা বড় ঘর বানাইছি। 
চেয়ারম্যানের সহযোগী মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, সঠিকভাবে ঘর নির্মাণ করে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আমতলী সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, গরীব জেনেই ঘর দিয়েছি, এখন তাদের কি অবস্থা তা আমার জানা নেই। ঘর ভেঙ্গে ফেলেছে কিনা তাও আমি জানি না।  

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।  

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, দ্রুত বিষয়টির খোজ নিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরএস