ফরিদপুরে মোশাররফ অনুসারীদের বিরুদ্ধে আরো একটি মানি লন্ডারিং মামলা

ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১০, ২০২৩, ০৩:৪২ পিএম

ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানকে প্রধান আসামি করে ফরিদপুরে একশো কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে আরো একটি মামলা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ভাই ও সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবর, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের এপিএস এএইচএম ফোয়াদ, খন্দকার মোশাররফের অত্যন্ত প্রিয়ভাজন দুই সহোদর শহর আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল।

সিআইডির ইন্সপেক্টর মো. নাসিরউদ্দিন বাদি হয়ে বুধবার(৯ আগস্ট)ফরিদপুরের কোতয়ালী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) এমএ জলিল এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ দমন আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। কোতয়ালী থানার মামলা নম্বর ২৮।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, সিদ্দিকুর রহমানের সাবেক মন্ত্রীর ভাই খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের মাধ্যমে ঠিকাদারি কাজে ৩ থেকে ৫ পার্সেন্ট কমিশন নিতেন। খন্দকার বাবরের পরে তিনি এপিএস ফোয়াদ, বরকত ও রুবেলের হেলমেট ও হাতুড়ি বাহিনী ব্যবহার করে কমিশন বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করতেন।

ক্ষমতার দাপটে একচেটিয়া অধিপত্য বিস্তার করে ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স, ফরিদপুর রেল স্টেশনের পাশে বালু ও পাথরের ব্যবসা এবং সিএন্ডবি ঘাট ও টেপাখোলা হাট নিয়ন্ত্রণ করে একশো কোটি ৫২ লাখ ৭৬ হাজার টাকা উপার্জন করেন। সিদ্দিকুর রহমান ব্যতিত এ মামলার অন্যান্য সকল আসামীরা অন্য মামলায় জেল হাজতে রয়েছেন।

এর আগে সিআইডি সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অনুসারীদের বিরুদ্ধে ২ হাজার কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের একটি মামলার পরে এপিএস ফোয়াদের নামে মানি লন্ডারিংয়ের আরো একটি মামলা দায়ের করেছে। এরমধ্যে ২ হাজার কোটি টাকার মামলায় ১ম দফায় ১০ জনের নামে এবং দ্বিতীয় দফায় আগের আসামিরা সহ মোট ৪৬ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আরএস