লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা মহিষখোচা বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম শাহিনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থী, শিক্ষক, প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা।
এরআগে রোববার অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম শাহীন নিজের প্যান্টের বেল্ট ও চেইন খুলে অধ্যক্ষের সঙ্গে অশালীন আচরণ এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ঘটনার ৩৭ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপের প্রতিবাদে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ স্থানীয়রা শাহিনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন।
এদিকে এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম শাহীনকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছেন প্রশাসন। কিন্তু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দাবি স্থায়ী বহিস্কার।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, স্যার (প্রভাষক জাহাঙ্গীর) কলেজে আসেন না যদি কোনো সময় আসেন এসে বেতন তুলে চলে যান। ক্লাশ নিলেও ঠিকভাবে নেয় না। স্যার ক্লাস রুমের সামনে সিগারেট খান। তিনি রোববার আমাদের অধ্যক্ষ স্যারকে হুমকিসহ বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। আমরা জাহাঙ্গীর স্যারের স্থায়ী বহিষ্কার চাই।
প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এই স্যারের নামে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অভিযোগ পেয়েছি। তিনি আমাদের সময়ও কখনো ক্লাস নেন নাই। তিনি আমাদের সনামধন্য প্রতিষ্ঠানের সুনাম নষ্ট করছেন। আমরা তার স্থায়ী বহিষ্কার চাই।
আরো একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী মোরশেদ মোনজের চৌধুরী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমরা যখন শুনতে পাই ও ভিডিও দেখতে পাই কলেজের একজন প্রভাষক মাদকাসক্ত চার্জশিটভুক্ত আসামি, নারি কেলেঙ্কারিসহ অধ্যক্ষ এবং সহকারী শিক্ষকদের শ্লীলতাহানি করছেন তখন আমার ভাই-বোন এলাকার সন্তানেরা এই প্রতিষ্ঠান থেকে কি শিখবে শিক্ষকদের কাছ থেকে। তাই পবিত্র শিক্ষাঙ্গনের পবিত্রতা ফিরিয়ে দিতে এই শিক্ষককে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করতে হবে।
অভিভাবকরা বলেন, আমাদের ছেলে মেয়েরা কি শিখছে এই প্রতিষ্ঠানে। শাহিন ফেন্সিডিল খোর, বিএসএফ এর হাতেও আটক হয়েছিল ও চার্জশিট ভুক্ত আসামিও। শাহিনের স্থায়ী বহিষ্কার না হলে আমরা আমাদের ছেলে-মেয়েদের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর রাখবো না।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ সারোয়ার আলম বলেন, আমার বলার মতো ভাষা আমি হারিয়ে ফেলেছি। শাহিনের জন্য আমার প্রতিষ্ঠানের সম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। শাহিন আমার সাথে যা ব্যাবহার করেছেন তা মুখে বলার মতো না আপনারা সবই জানেন। তার সাময়িক বহিষ্কার হয়েছে, তবে সবার দাবি তার স্থায়ী বহিষ্কার হোক।
মানববন্ধন শেষে জাহাঙ্গীর আলম শাহিনের ছবি সম্বলিত ব্যানার আগুন দিয়েও পুড়িয়েছেন এলাকাবাসী।
আরএস