নির্মাণ ব্যয় দুই কোটি ৩৯ লাখ

নির্মাণাধীন রাস্তা আগাছায় ভরপুর

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম

এক বছর পেরিয়ে গেলেও সম্পন্ন হয়নি নির্মাণ কাজ

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের ঊলুহাটি-কালিগঞ্জ বাজারের রাস্তাটি দুই কোটি ৩৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তুু রাস্তা নির্মাণ কাজের উদ্বোধনের এক বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত রাস্তার কাজ সম্পন্ন হয়নি।

ঠিকাদারের গাফিলতিতে রাস্তার নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় রাস্তাটির কিছু অংশ বালুমিশ্রিত মেকাডম ও কিছু অংশ খুড়ে গর্ত অবস্থায় রাখা হয়েছে। এতে রাস্তাটি সমান না করায় খোয়া ফেলে রাখা অংশে আগাছায় ভরপুর হয়ে গেছে।

ফলে উক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী আট গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। যা নান্দাইল-তাড়াইল সওজ বিভাগের রাস্তার সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে।

নান্দাইল উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এলজিইডি’র অর্থায়নে ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ২ দশমিক ২০ কিলোমিটার ওই সড়কের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য। ২ কোটি ৩৯ লাখ ১৯ হাজার ৬৫৪ টাকা ব্যয় নির্ধারিত রাস্তাটির কাজ পেয়েছিলেন কিশোরগঞ্জের শাহিল এন্ট্রারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তবে, ঠিকাদার মারা যাওয়ায় কাজটির তদারকি করছেন চঞ্চল মিয়া নামে অন্য একজন ঠিকাদার।

সরজমিন পরির্দশনে দেখা গেছে, বর্তমানে রাস্তাটির বেহাল অবস্থা। রাস্তাটি আগাছায় ভরপুরের পাশাপাশি কোথাও উঁচু-নিচু ও কোথাও গর্ত হওয়ায় দুর্ভোগের শিকার পথচারীরা। ফলে মানুষের বাড়ির ভিতর দিয়ে অথবা কৃষিজমির আইল পথ দিয়ে যাওয়া আসা করতে হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সড়কটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে রাজগাতী ইউনিয়নের উলুহাটি, বনাঢী, আকবপুর, কয়রাটি, ভূইয়া পাড়া, কাশিনগর, কার্তিকখিলা ও কালিগঞ্জ বাজারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা সহজতর হবে। তবে রাস্তার কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এখন ভোগান্তি ছাড়া আর কিছুই নয়।

এ বিষয়ে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার চঞ্চল মিয়া বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়েগেছে। তবু সড়কের কাজ দ্রুত শুরু করবেন বলে জানান।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইফতেকার মোমতাজ খোকন বলেন, মূল ঠিকাদার মারা গেছেন, তবে বর্তমানের ঠিকাদারকে বার বার বলেছি, কাজটি যেন দ্রুতই সম্পন্ন করেন। তবে সে কোন কর্ণপাত করছে না। স্থানীয় আটটি গ্রামের বাসিন্দারা ভোগান্তিতে আছে।

নান্দাইল উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল (এলজিইডি) কর্মকর্তা শাহাবো রহমান সজীব বলেন, কার্যাদেশ প্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী বাদল মিয়া মারা যাওয়ায় সড়কের নির্মাণ কাজ মাঝ পথে থেমে যায়। পরে যিনি নির্মাণে যুক্ত হয়েছেন, তাকে দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

এআরএস