শেরপুরে সরিষার রেকর্ড ফলন

মলয় মোহন বল, শেরপুর প্রকাশিত: নভেম্বর ৩০, ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম

গত ৫ বছরে শেরপুর জেলায় সরিষার আবাদ দ্বিগুণেরও বেশি জমিতে চাষাবাদ হলেও এর উৎপাদন বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। সরকার গত কয়েক বছর ধরে তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে। বিশেষ করে দেশে আমদানী নির্ভর ভোজ্য তেলের দাম ক্রমেই বাড়তে থাকায় দেশীয় সরিষার আবাদ বৃদ্ধিতে কৃষক পর্যায়ে প্রনোদনা ও প্রদর্শনী মাঠ বৃদ্ধি করে যাচ্ছে।

জেলায় এবছর সরিষা রোপণের শেষ পর্যায় রয়েছে। আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যেই সরিষার ফলন ঘরে ওঠানোর আশা করছে কৃষি বিভাগ।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে সরিষা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিলো ৫ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমিতে, এতে ফলন হয়েছিলো ৭ হাজার ১৪৪ মেট্টিক টন। এরপর ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৬ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে ৮ হাজার ৫১২ মেট্টিক টন, ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৭ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে ৯ হাজার ৭৪০ মেট্টিক টন, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৭ হাজার ৮২২ হেক্টর জমিতে ১১ হাজার ২৯ মেট্টিক টন, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ১২ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে ১৭ হাজার ২১ মেট্টিক টন এবং চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮ হাজার ১৮২ হেক্টর জমিতে ও ফলন আশা করা হচ্ছে ২৫ হাজার ৬৩৭ মেট্টিক টন।

যদিও এখন পর্যন্ত আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে। এর কারণ হিসেবে জানা গেছে, চলতি বছর বৃষ্টির ক্ষতির কারণে আমন ফসল একটু দেরিতে কর্তন করায় সরিষার আবাদ এবার লক্ষ্যমাত্রা কম হতে পারে। তবে আরো প্রায় ১০/১৫ দিন সরিষা রোপণের সময় রয়েছে।

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক ড. সুকল্প দাস জানায়, সরকার ৩ বছরের মধ্যে সারাদেশে ভোজ্য তেলের ৪০ ভাগ আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষার আবাদের উপর জোড় দিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে শেরপুর জেলায় ইতিমধ্যে গত এক বছরেই দ্বিগুণ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি জনসংখ্যা অনুপাত হিসেবে ৬০ ভাগ সরিষার চাহিদা পূরণ হয়েছে। তবে আগামী বছর যদি ফলন ২৬ হাজার মেট্টিক টনে উন্নিত করা যায় তবে জেলার শতভাগ চাহিদা পূরণ হবে।

এআরএস