মাইনী নদীতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ

লংগদু (রাঙামাটি) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২৩, ০৫:০৫ পিএম

হেমন্তের বিকালে কাপ্তাই হ্রদের অংশে মাইনী নদীতে স্বচ্ছ নীল জলরাশিতে অনুষ্ঠিত হলো আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। নৌকা বাইচের নৌকার বৈঠার ছলাৎ ছলাৎ শব্দ আর মাঝি মাল্লাদের নাচ গানে মুখরিত হয়ে উঠে মাইনী নদী।

শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী লংগদু জোনের (তেজস্বী বীর) আয়োজনে উপজেলার মাইনীমূখ ইউনিয়নের ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন মাইনী খালে পাহাড়ি বাঙালির বন্ধন দৃঢ় করতে ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

আয়োজকরা জানান, নৌকা বাইচে লংগদু জোনের আওতাধীন আটটি দল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রথম স্থানকারী কালাপাকুজ্জ্যা ফজলের দলকে ২০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় স্থানকারী কালাপাকুজ্জ্যা ইউনিয়ন পরিষদ ও তৃতীয় স্থানকারী মাইনীমূখ ইউনিয়ন পরিষদ দলকে ৫ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেয়া হয় এবং অংশগ্রহণকারী সকল দলকে সান্ত্বনা পুরস্কার দেয়া হয়।

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মীর সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রতিযোগিতা শেষে লংগদু জোন অধিনায়ক লে. কর্নেল হিমেল মিয়ার সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার তুলে দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সেলিম মিয়া।

এসময় জোনের উপ অধিনায়ক মেজর আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ক্যাপ্টেন মেহেদী, ৩৮ আনসার ব্যাটালিয়নের উপ পরিচালক মীরবহর শাহাদাত হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ারা বেগম, প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা মো. এখলাছ মিঞা খান, আটারকছড়া ইউপি চেয়ারম্যান অজয় চাকমা মিত্র, মাইনীমুখ ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন কমল, লংগদু ইউপি চেয়ারম্যান বিক্রম চাকমা বলি, কালাপাকুজ্জ্যা ইউপি চেয়ারম্যান বারেক দেওয়ানসহ বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জোন অধিনায়ক হিমেল মিয়া বলেন, নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা দেখে খুবই মুগ্ধ হয়েছি। বহু মানুষ নৌকা বাইচ দেখতে এসেছেন। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ দেখে সত্যি খুব আনন্দিত হয়েছি। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৬ বছর পূর্তিতে এমন সম্প্রীতির আয়োজন করা হয়েছে নিজেদের মধ্যে বন্ধন দৃঢ় করতে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা মানুষের পাশে আছে। শেষে উচ্ছসিত হাজারো দর্শনার্থীদের উষ্ণ অভ্যর্থনা দিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এআরএস