গুরুদাসপুরে ভিটেমাটি বিবাদে যুবকের মৃত্যু

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩, ০৬:২৩ পিএম

গুরুদাসপুরের চাপিলার পশ্চিম নওপাড়ায় বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে জমি (ভিটেমাটি)সিমানা সংক্রান্ত বিরোধে চাচা-ভাতিজার ধস্তাধস্তিতে চাচা সাইফুল ইসলাম(৪২) এর মৃত্যু হয়েছে।

নিহত সাইফুল গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের পশ্চিম নওপাড়া গ্রামের মৃত্যু আবু বক্কার মৃধার ছেলে। ভাতিজা সোহেল হোসেন(৩০) একই মহল্লার মো. তারাজুল মৃধার ছেলে।

মৃত্যু ছাইফুলের বড়ভাই মো. শহিদুল মৃধা বলেন- তারাজুল সম্পর্কে আমার চাচাতো ভাই। তার সাথে দীর্ঘদিন যাবত বসতভিটা নিয়ে সমস্যা ছিল। বিষয়টি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্যদের জানান। মাপের মাধ্যমে তারাজুলের আঙিনায় ছাইফুল সাড়ে ১০ শতাংশ জমি প্রাপ্য হয়ে সীমানা নির্ধারণ করে। আজ সকালে ফজর নামাযের পড়ে ঘর তৈরির জন্য সুপারি গাছ কাটতে গেলে তারাজুল ও তার ছেলে সোহেলসহ পাঁচজন মিলে বাঁধা দেয় এবং সাইফুলকে মারধরের একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মৌখাড়া জুয়েল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে গেলে ডা. জুয়েল হোসেন তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহত ছাইফুলের মাদ্রাসা পড়ুয়া দুইটি ছেলে- মেয়ে ও এক স্ত্রী রয়েছে।

তারাজুলের মেয়ে নূর নাহার বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত আমাদের বসতভিটা নিয়ে সমস্যা হয়ে আসছে। কোর্টে মামলা রয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও জোরপূর্বক আমাদের আঙিনায় এসে সুপারি গাছ কর্তনের সময় আমার ছোট ভাই সোহেল মোবাইল ফোনে ভিডিও করার সময় চাচা সাইফুল ইসলাম আরও উত্তেজিত হয়ে যায়। গাছ কর্তনের শেষ মূহুর্তে অজ্ঞান হয়ে পড়ে যায়। মারামারির কোন ঘটনা ঘটেনি।

চাপিলা ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, বসতভিটা নিয়ে তাদের দীর্ঘদিন যাবত সমস্যা চলছে। ওরা একে অপরের ভাগিদার। শুধু মৌখিক বন্টন ছিল। অনেক আগে তারাজুলকে তার আঙিনার জায়গা মৌখিকভাবে দিয়ে সাইফুলেরা অন্য জায়গা নিয়েছিল। পরবর্তীতে তারজুলের জায়গা রাস্তা সংলগ্ন বেশি মূল্যবান হওয়ায় তারা ছাড়তে চাচ্ছিলো না। জায়গার উপর ১৪৪ ধারা জারি ছিল।

গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. উজ্জ্বল হোসেন মৃত্যুর ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, গাছ কর্তনের এক পর্যায়ে চাচা-ভাতিজা উত্তেজিত হয়ে সাইফুল ইসলাম মাটিতে পড়ে গেলে তার স্বজনেরা একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত্যু ঘোষণা করে। মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এআরএস