খোকসায় মেলার নামে চলছে জুয়া, অশ্লীল নৃত্য

কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৪, ০৫:৪৬ পিএম
কুষ্টিয়ার খোকসায় মেলার নামে চলছে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর। ছবি: আমার সংবাদ

কুষ্টিয়ার খোকসায় শুক্রবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যে রাত থেকে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী কালীপূজা ও মেলা । তবে মেলার নামে এখানে চলছে জুয়া ও  অশ্লীল নৃত্যের আসর।

গড়াই নদীর তীর ঘেঁষে মাঘের অমাবস্যা তীথিতে প্রায় ছয় শতাধিক বছর আগে এ মেলার প্রচলন হয়েছিলো। সেই থেকে প্রতি বছর এইমেলা হচ্ছে।

মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, পুতুল নাচের নামে যুবতী মেয়েদের দিয়ে অশ্লীল নৃত্যের নাচ ঘর চলছে। খোলামেলা ভাবে বসেছে জুয়ার আসর। মেলার অসামাজিক কার্যকলাপ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা রহস্যজনক।

অতিরিক্ত সাউন্ড, জুয়া ও অশ্লীলতাসহ অসামাজিক নানা কর্মকাণ্ডে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ। কিন্তু আয়োজক কমিটির ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলছেন না।

প্রশাসনের অনুমতি না নিয়েই বহাল তবিয়তে চলছে সার্কাস। মেলায় হস্তশিল্প, ছোটদের বিভিন্ন ধরনের খেলনা, গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান থাকলেও মেলায় আগত হাজার হাজার যুবক ও মধ্যবয়সীরা টিকিট কেটে ঝুকছে পুতুল নাচের দিকে। মেলায় পুতুল নাচের প্যান্ডেলের নাম ছিলো চোখের পলক জাদু প্রদর্শনী। এছাড়াও রাতের বেলায় মেলার এক অংশ দখল করে চলে জুয়ার আসর।

দুইদিন পরই শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। শর্ত জুড়ে দেওয়া অনুমতি লঙ্ঘন করে চলছে মেলার কার্যক্রম।

এতে করে অন্তত উপজেলার ৫ শতাধিক এসএসসি পরীক্ষার্থী ক্ষতির মুখে পড়বে।

শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সরেজমিনে মেলায় গিয়ে দেখা যায়, মেলার গেইটে পুলিশ। এর কয়েক গজ সামনে জুয়ার আসর চলছে। এর পাশেই চলছে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি ও নৃত্যের আসর।

অভিযোগ আছে, নির্বিঘ্নে জুয়া পরিচালনা আর এই অশ্লীল নৃত্যর জন্য আয়োজক কমিটি বিভিন্ন মহলে মোটা অংকের টাকা দিচ্ছে। জুয়ার বোর্ডে প্রতি রাতে লাখ লাখ টাকা লেনদেন হচ্ছে। আয়োজক কমিটিসহ অন্যান্য খরচ মিটিয়েও মোটা অঙ্কের টাকা চলে যাচ্ছে জুয়া পরিচালনাকারীদের পকেটে।

প্রকাশ্যে এমন জুয়া ও অশ্লীল নৃত্য চললেও খোকসা থাকার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আননুর যায়েদ অস্বীকার করে বলেন, ভিডিও ফুটেজ থাকলে দিন। এসবের অনুমতি নেই, যদি এমন কিছু হয়ে থাকে খোকসা থানা পুলিশ অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নিবে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইরুফা সুলতানা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি, ইতিমধ্যেই মেলার আয়োজক কমিটির সাথে কথা বলে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । দেখা যাক এখন কি হয়।

এআরএস