মধ্যনগরে সম্ভাবনাময় গোপেশ বাগ

অমৃত জ্যোতি, মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪, ০২:৪৬ পিএম

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলা সদর ওয়ার্ডের বোয়ালা হাওরে করচের চারা রোপণ করে বাগান সাজিয়েছেন বৃক্ষপ্রেমী গোপেশ সরকার নামের এক ব্যক্তি।

করচের বাগান সাজাতে প্রায় ৩ হাজার চারা রোপণ করেছেন তিনি। মধ্যনগর উপজেলার পশ্চিম দিকে অবস্থান বোয়ালার হাওরের। করচ গাছগুলো মানুষের নজর কেড়েছে বেশ। মধ্যনগর ও কলমাকান্দা দুই উপজেলার সংযোগের মেঠো রাস্তার পাশ দিয়ে সাজিয়েছেন প্রকৃতির অংশ হিসেবে অপরূপ সাজে।

সদর ওয়ার্ডের জমশেরপুর ও মাইজপাড়া গ্রামের বোরো জমির পাশের বোয়ালার কান্দাটি দেখতে খানিকটা ধনুকের ন্যায়।

জমশেরপুর গ্রামের গগন সরকারের একমাত্র ছেলে গোপেশ সরকারের নিজ হাতে লাগানো করচের চারাগুলো প্রকৃতিকে যেন সাজিয়েছে অপরূপ সাজে। কৃষক, গবেষক ও প্রকৃতিমনা জনসাধারণ এর নাম দিয়েছেন ‘গোপেশ বাগ’।

উদ্যোক্তা গোপেশ সরকার জানান- প্রকৃতির ওপর ভালোবাসা আর ভারসাম্য রক্ষায় সামান্য প্রয়াস মাত্র। অর্থহীন সময়ে প্রায় তিন হাজার করচের চারাগাছ রোপণ করি। শ্রমিক খরচসহ প্রায় চার লক্ষ টাকা ব্যয় হয়েছে। আমি তৃপ্তি পাই তখনি দীর্ঘ পাঁচ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল যখন দেখি গাছের পাতাগুলো সতেজ হয়।

তিনি জানান, লোক মুখে শোনা যায় ‘গোপেশ বাগ’ তখনই আনন্দে আত্মাহারা হই। আমার ইচ্ছে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচির মাধ্যমে কৃষকের পেনশন প্রকল্প শুরু করার। পথচারীদের শীতল ছায়া, মনমাতানো দৃশ্য এবং কৃষি মৌসুমে রৌদ্রময়ে স্বস্তি পান কৃষকরা। গোপেশ বাগান চত্বরে সকলের সহযোগিতা পেলে একটি কৃষি প্রদর্শনী মেলা করার ইচ্ছা আছে। গাছের নকশায় মুজিববর্ষ অঙ্কিত করার পরিকল্পনাও রয়েছে তার।

গবেষক সজল কান্তি সরকার জানান- হাওরগুলোতে সবুজ বনায়ন বিলুপ্ত প্রায়। গোপেশ সরকার বৃক্ষকে ভালোবেসে এমন উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন তার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সকলেই সহযোগিতা করলে ‘গোপেশ বাগ’টি হতে পারে পর্যটন সম্ভাবনায় অন্যতম কেন্দ্র।

মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অতীশদর্শী চাকমা জানান- আমার জানা ছিল না। আপনার মাধ্যমে জেনেছি। অবশ্যই প্রকৃতিমনা মানুষকে সকলের ভালো লাগবে। ভালো লাগবে চির সবুজের বৈচিত্র্যময়ী দৃশ্যকে।

ইএইচ