বয়স কমিয়ে হত্যা মামলার আসামিকে ‘শিশু’ প্রমাণের পাঁয়তারা

ফেনী প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম

ফেনীতে হত্যা মামলায় কারাগারে থাকা ১৯ বছর বয়সী এক আসামিকে জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে ‘শিশু’ প্রমাণের পাঁয়তারা করছে একটি চক্র। আসামি শুভ জেলার সদর উপজেলার মাথিয়ারা এলাকার সেলিমের ছেলে।

সম্প্রতি দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের বারাহিগুনী এলাকায় দস্যুতায় বাধা দেয়ায় প্রবাসী আতাউর রহমানের স্ত্রী মমতাজ বেগম পারুলকে (৫৬) পিটিয়ে ও শ্বাসরোধে হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, শুভ ২০১৬ সালে পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের তেমুহনী এলাকায় জামাল একাডেমি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাশ করে। এরপর ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে বিদ্যালয় থেকে তাকে দেয়া প্রত্যয়নপত্রে জন্ম তারিখ ২১. ০৪.২০০৪ উল্লেখ করা হয়।

২০১১ সালের ১১ জানুয়ারিতে ভর্তি হওয়ার পর পাঁচগাছিয়া এ জেড খাঁন মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের রেজিস্ট্রারও তার জন্ম তারিখ ২১.০৪.২০০৪ লিপিবদ্ধ রয়েছে। অথচ, গত ডিসেম্বরে মমতাজ বেগম পারুল হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতার পর তার জন্ম তারিখ পরিবর্তন করা হয়। পাঁচগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ইস্যু হওয়া নতুন জন্ম নিবন্ধনে তার জন্ম তারিখ ২১.০৪.২০০৬ দেখানো হয়েছে।

অপর একটি সূত্র জানায়, নতুন জন্ম নিবন্ধন উপস্থাপন করে গত মঙ্গলবার আদালতে শুভর জামিন আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অপরাজিতা দাস ওই আবেদন না মঞ্জুর করেন।

এর আগে বারাহিগুনী দরবার শরীফ এলাকার ভাড়া বাসা থেকে গ্রেপ্তার হওয়া লক্ষ্মীপুর জেলার টুমচর গ্রামের মাঈন উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেনের দেয়া ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী শুভকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ১৭ ডিসেম্বর (সোমবার) জবানবন্দিতে দস্যুতার ঘটনায় বাধা দেয়ায় শুভ ছাড়াও ফিরোজ নামে আরেকজনসহ ওই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে মোবারক উল্লেখ করে।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু জানান, আদালতের অনুগ্রহ পেতে আসামি শুভকে শিশু প্রমাণ করতে তার বয়স কমানো হয়েছে। বিষয়টি আদালতের নজরে আনা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দাগনভূঞা দ থানার ওসি (তদন্ত) মো. রাসেল মিয়া জানান, মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। জন্ম তারিখ বিতর্কের বিষয়টি আদালতে প্রমাণসাপেক্ষ বিষয়।

ইএইচ