নাটোরে সজিনা গাছে ফুলের বাহার

নাটোর প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৪, ০৫:০৯ পিএম

নাটোরের যেদিকে তাকানো যায় সজিনার গাছে গাছে সজিনা ফুলের বাহার। পাতা ঝড়া সজিনা গাছে দৃষ্টিনন্দন সাদা ফুলে চোখ জুড়িয়ে যায়।

নাটোর শহর ও গ্রামের রাস্তার পাশে অথবা বাড়ির সামনে চোখে পড়ে সজিনা গাছে ফুলের বাহার। সজিনা একটি আশ্চর্যজনক ওষুধি ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন গাছ বলে খ্যাত। সজিনা ডাটার স্বাদের কারণে অনেকেই বাসা বাড়িতে এই গাছের আবাদ করে। তবে সজিনা ডাটা ছাড়াও সজিনার ফুল, ফল, পাতা, বীজ, বাকল এমনকি শিকড়ও ওষুধিগুণ সম্পন্ন। এর পাতায় ৩৮ রকম অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো অ্যাসিডসহ ৩৮ শতাংশ আমিষ রয়েছে।

সজিনা গাছ প্রায় ৩০০ রকমের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। বর্তমানে সজিনার পাতাকে গুড়া করে ডায়াবেটিক নিয়ন্ত্রণের জন্যও অনেকে সেবন করে সফলতা পাচ্ছেন।

নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ মৌসুমে জেলায় ২১৬ হেক্টর জমিতে সজিনা চাষ হচ্ছে। অথচ ২০২২-২৩ মৌসুমে ২২৩ হেক্টর আবাদি জমি থেকে ৪ হাজার ১৮৮ টন সজিনা উৎপাদন হয়েছে। এর আগে ২০১৭-১৮ মৌসুমে ২০৬ হেক্টর আবাদি এলাকা থেকে ৩ হাজার ৬৯৫ টন সজিনা আবাদ ও উৎপাদন হয়েছিল। বিগত বছরগুলোতে উৎপাদন এলাকা ও ফলন বাড়লেও চলতি মৌসুমে সজিনার আবাদি জমি কমেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে আরও জানা যায়, সজিনা গাছের জন্য আলাদাভাবে জমি নির্ধারণের জন্য কোন উদ্যোগ কৃষি সম্প্রসারণ অফিস নেয় না। শুধুমাত্র কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের জন্য বাড়ির আশেপাশে অথবা রাস্তার ধারে সজিনা গাছের কাটিং বা চারা লাগানো ও পরিচর্যার পরামর্শ দেয়।  

নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ আমার সংবাদকে জানান, নাটোরে পুষ্টি ডিনামাইট নামে খ্যাত সজিনা গাছের আবাদ ও উৎপাদন নির্ভর করে কৃষকদের উপরে। দেখা যায় যে জমিতে কৃষক সজিনা আবাদ করেছিল পেয়ারা, বড়ই বা মাছ উৎপাদনে অধিক লাভের কারণে নিজ প্রয়োজনে সজিনা আবাদ ছেড়ে দিয়েছে। ফলে সজিনার ফলন কমে যেতে পারে। কিন্তু সজিনা ডায়াবেটিক, উচ্চ রক্তচাপ, শ্বেতীরোগ, টাইফয়েড, প্যারালাইসিস, লিভার, চোখের ছানি পড়া রোগ, শ্বাসকষ্টসহ অনেক রোগের মহৌষধ হিসেবে ভূমিকা পালন করে।

তবে সজিনার যথাযথ ও বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে এই অত্যাশ্চর্য্য সবজি আবাদের পরিধি আরো বাড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ইএইচ