নীলফামারীতে কলাগাছের সঙ্গে শত্রুতা

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৭, ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম

জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ২৪ শতক জমির ফলন্ত কলাগাছ কেটে নষ্ট করেছে প্রতিপক্ষ। শত্রুতা বশত প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করেও ক্ষ্যান্ত হয়নি প্রভাবশালী চক্র। বরং উল্টো প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলছে। ফলে উঠতি ফলস হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার সাথে জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি।  

এমন অমানবিক ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের সোনাখুলী পুলপাড়া এলাকায়। গত ৩ মার্চ এ ঘটনা ঘটলেও বাধ্য হয়ে সুবিচারের আশায় নীলফামারী জজ কোর্টের আমলী আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও হুমকি দিয়েই চলেছে বিবাদীরা।

জানা যায়, ওই এলাকার মো. হামিদুল হক (৫৭) আপোষ সূত্রে পৈত্রিক সম্পত্তির ২৪ শতক জমি (যার এসএ ও বিএস খতিয়ান তার পিতার নামেই আছে) দীর্ঘদিন থেকে ভোগ দখল করে আসছে। ওই জমির উত্তর অংশে কলাগাছ ও দক্ষিণ অংশে বাঁশঝাড় লাগিয়েছেন।

সম্প্রতি ওই জমিতে নিজেদের অংশ আছে দাবি করেন তার জ্ঞাতি মৃত কফর উদ্দিনের ছেলে মো. মকবুল হোসেন (৬২)। একারণে ওই জমি নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছে। প্রায় সময়ই জমিটি জোর করে দখলের চেষ্টা করে এবং হুমকি দিয়ে আসছে।

হামিদুল হক বলেন, মকবুলের ছেলেরা বেশ দুর্দান্ত ও সন্ত্রাসী মানসিকতার। তারা লোভের বশে সম্পূর্ণ অযৌক্তিকভাবে ওই জমিতে অংশ দাবি করে এখন গায়ের জোরে দখল করতে চাচ্ছে। যা বেআইনি। প্রতিবাদ করায় তারা গাছের সাথে শত্রুতার ক্ষোভ ঝেড়েছে। আমার লাখ টাকার কলাগাছ কেটে সাবাড় করেছে। আগামী রমজানে কলাগুলো বিক্রি করতে পারতাম। তাতে বেশ লাভবান হতাম। কিন্তু তারা সেগুলো নষ্ট করে আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। অন্যায়ের বিচার চেয়ে মামলা করায় প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। পরিবার নিয়ে চরম জীবনের নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি। এই জুলুমের বিচার চাই।

এ ব্যাপারে মকবুল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা ওই জমিতে ভাগ পাবো। তা না দিয়ে হামিদুল একাই ভোগ করছে। এমনটা আর হতে দেবনা। এজন্য জমিটা দখলে নিতে কলাগাছ কেটে ফেলেছি।  

ইএইচ