ভৈরবে ট্রলারডুবির ঘটনায় ৯ মরদেহ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ২৫, ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম

কিশোরগঞ্জের ভৈরবের মেঘনা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবলসহ আরও তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় সর্বমোট ৯ জনের লাশ উদ্ধার করে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সোমবার সকালে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে ভৈরবের মেঘনা নদীর পলতাকান্দা মাছ বাজারের ব্রিজ এলাকা থেকে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫), ভৈরব বাজারের সায়দুল্লাহ মিয়ার ঘাট পারের কচুরিপানা সাথে ভাসমান অবস্থায় বেলন চন্দ্র দে (৩৮) এবং ভৈরবের কালিপুর পাওয়ার স্টেশন সংলগ্ন এলাকার কাছ থেকে ভাসমান অবস্থায় শিশু রাইসুলের (৫) লাশ উদ্ধার করা হয়।

এ পর্যন্ত মোট নয়জনের লাশ উদ্ধার করে উদ্ধার অভিযানের সমাপ্ত করেছে ফায়ারসার্ভিস ও নৌ-পুলিশ কর্মীরা।

ভৈরব নৌ পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম মনিরুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সোমবার সকাল ৭টা থেকে দুপুর পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা, সোহেল রানার ছেলে শিশু রাইসুল এবং বেলন চন্দ্র দের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে রোববার বিকাল ৩টার দিকে নরসিংদী জেলার বেলাব থানার দড়িকান্দি এলাকার দারু মিয়ার মেয়ে আনিকা আক্তার (২০), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়ার এলাকার টুটন দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০) ও পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানার মেয়ে মাহমুদার (৮) লাশ উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও শনিবার দুপুরে দিকে সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমি (২৫) ও টুনটুন দে’র মেয়ে আরাধ্যর (১২) লাশ উদ্ধার করা হয়।

এর আগে রোববার সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে ১২টার সময় ডুবে যাওয়া ট্রলারটি চরসোনামপুর চরের দিকে উদ্ধার করা হলেও ট্রলারটিতে কোনো লাশ পাওয়া যায়নি।

এই একই মর্মান্তিক ঘটনায় (২৩ মার্চ) ভৈরব পৌর শহরের কমলপুর এলাকার সুবর্না বেগম (৩০) নামের এক নারীকে মুমূর্ষু অবস্থায় ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

ইএইচ