বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে ৫ দিন পর কার্যক্রম শুরু

যশোর প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১৫, ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম

টানা পাঁচ দিন বন্ধে ঈদ উল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বেনাপোল পেট্রাপোল

স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকালে পণ্য বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে ও ভারতে প্রবেশের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়।

জানা গেছে,ঈদ উল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ১০ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল রোববার পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। তবে এসময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত বাংলাদেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল।

এছাড়া টানা পাঁচ দিন পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় সরকারের প্রায় দেড়শো কোটি টাকা রাজস্ব আয় কমেছে । বন্দরেও জমেছিল পণ্যজট। সোমবার সকাল থেকে পণ্য খালাস শুরু হয়েছে।

এদিকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হওয়ায় বেনাপোল বন্দরে আবারও কর্মব্যস্ততা ফিরেছে। পণ্য খালাসে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাণিজ্যের সাথে সংশিষ্ট ব্যবসায়ীসহ বন্দর, কাস্টমসের কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বন্দর শ্রমিকরা।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশেই সরকারি ছুটি ছিল। তবে এসময় ও আমদানি রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক ছিল।

এ বিষয়ে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম বলেন, বেনাপোল বন্দর টানা পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর আজ সকাল থেকে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য কার্যক্রম চালু হয়েছে। পণ্য লোড-আনলোড দ্রুত করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় ৪০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি, ২০০ ট্রাকে রপ্তানি হয়ে থাকে। বন্দর থেকে ৫০০ ট্রাক পণ্য খালাস হয়। আমদানি পণ্য থেকে দিনে সরকারের রাজস্ব আসে ৩০ কোটি টাকা। আমদানি-রপ্তানি গতিশীল করতে বেনাপোল বন্দরে সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা বাণিজ্য সেবার কথা থাকলেও নানান প্রতিবন্ধকতায় সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন বন্ধ থাকে। 

আরএস