বাঞ্ছারামপুরে শিশু ধর্ষণের ১৬ দিন পর অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ১, ২০২৫, ০৩:১৭ পিএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনার ১৬ দিন পর ব্যাপক জনদাবি ও আন্দোলনের তোপের মুখে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আলোচিত ধর্ষক তামিমকে।

বুধবার দিবাগত রাত ১টায় নারায়ণগঞ্জ জেলার   আড়াইহাজার উপজেলার বিশনন্দি ফেরিঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ।  

উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল উপজেলার তেজখালী ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ভয়াবহ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, কুদ্দুছ মিয়ার ছেলে তামিম (২২) তার পোষা বিড়াল দেখানোর কথা বলে প্রতিবেশীর ৫ বছরের শিশু কন্যাকে ছাদে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। শিশুটির চিৎকারে পরিবারের সদস্যরা ছুটে গিয়ে বিল্ডিংয়ের একটি চিপাগলি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে স্থানীয় সলিমগঞ্জ অলিউর রহমান জেনারেল হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, যেখানে সে এখনও চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পর শিশুটির মা বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

তবে ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও অভিযুক্ত ধর্ষক তামিমকে গ্রেপ্তার না করায় শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় ‘বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সর্বস্তরের জনতা’-র ব্যানারে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার প্রবেশ গেটের রাস্তার দুপাশ অবরোধ করে থানা ঘেরাও করে অনশন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে স্থানীয় জনগণ। তারা ধর্ষকের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন এবং ধর্ষক তামিমকে গ্রেপ্তার না করায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরে পুলিশ।

এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আসামি গ্রেপ্তার না করলে পুনরায় থানা ঘেরাও করার হুঁশিয়ারি দেন।

পরদিন (২৭ এপ্রিল) সকালে ঘটনাস্থলে যান নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক। তিনি এ সময় ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার এবং সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন ভিকটিমের পরিবারকে।

নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাকের নির্দেশে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে বুধবার রাতে ধর্ষক তামিমকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। 
নবীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পিয়াস বসাক বলেন, বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ আড়াইহাজার এলাকা থেকে ধর্ষক তামিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবার যেন ন্যায় বিচার পায় সেই লক্ষ্যে পুলিশ কাজ করবে।

ইএইচ