কুড়িগ্রামে আলু বীজের দাম বৃদ্ধি ও লোকসানের হাত থেকে রেহাই পেতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে কৃষকরা। সংবাদ সম্মেলন শেষে কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বরাবর একটি স্মারকলিপি জমা দেন চুক্তিবদ্ধ আলু বীজ সমিতির চাষীরা।
রোববার দুপুরে কুড়িগ্রাম সদরের ত্রিমোহনী এলাকায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন অফিসের সামনে এই মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে চুক্তিবদ্ধ আলু বীজ সমিতির সভাপতি মো. কামরুজ্জামান জানান, "বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর আওতাভুক্ত কুড়িগ্রাম জোনের বীজ আলু উৎপাদনকারী চুক্তিভিত্তিক চাষীরা বিগত ১০ (দশ) বছর ধরে বিএডিসিকে চুক্তিভিত্তিক বীজ আলু প্রদান করে আসছে। গত বছর আলুর বীজ বিএডিসি থেকে প্রতি কেজি গ্রেডভেদে ৪৫/৪৬ টাকা দাম নির্ধারিত ছিল, এবং বিক্রি দাম ছিল গ্রেড ভেদে ৩৩/৩৪/৩৫ টাকা।"
তিনি আরো জানান, "এ বছর বিএডিসি থেকে প্রতি কেজি বীজ ক্রয়ের মূল্য ছিল ৫৮/৬২/৭২ টাকা দরে। ক্রয়কৃত বীজ আলু রোপণ, শ্রম, সার-সেচ, কীটনাশকসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে প্রতি কেজি বীজ উৎপাদন করতে খরচ হচ্ছে প্রায় ৩০ টাকা। তবে উৎপাদিত সব আলু বীজ হিসেবে গন্য হয় না এবং অনেক আলু বাদ পড়ে। এছাড়া, বীজ আলু উৎপাদন খরচ বেশি এবং একর প্রতি খাওয়া আলু থেকে প্রায় ৯০ মন কম উৎপাদন হয়।"
তিনি আরও বলেন, "বিএডিসি এবছর গ্রেড ভিত্তিক প্রতি কেজি আলু বীজের দাম ২৬/২৮ টাকা নির্ধারণ করেছে, যা উৎপাদন খরচের তুলনায় নেহায়েত কম এবং চুক্তিভিত্তিক বীজ আলু প্রদানকারী চাষীদের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ। চাষীদের পক্ষে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠা সম্ভব নয়।"
এই মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিএডিসি কর্তৃপক্ষকে প্রতি কেজি বীজ আলুর দাম ৪০ টাকা নির্ধারণ করার আহ্বান জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুক্তিবদ্ধ আলু বীজ সমিতির সভাপতি মো. আব্দর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান, সহ সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক তহিদুল ইসলাম, লুৎফর রহমানসহ কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত অন্যান্য চাষীরা।
ইএইচ