চট্টগ্রাম রাজনীতি: খালেদা জিয়া ও দুই পুত্রবধূর আগমনে গাত্রদাহ!

মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৫, ০৮:২২ পিএম

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের দশ মাসের চলমান সময়ে দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সাথে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামেও রাজনীতির মাঠে প্রাণচাঞ্চল্যতা পরিলক্ষিত হয়েছে। আওয়ামী লীগের একক দখলে থাকা রাজনীতির মাঠে একেবারে শূন্যের কোটায় আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল(বিএনপি)‍‍`র পাশাপাশি জামায়েত ইসলামীর মধ্যে উচ্ছ্বাস ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড খুবই বেগবান দেখা যাচ্ছে।

এছাড়া নতুন বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি(এনসিপি) রাজনীতির মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। নতুন বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক দলে সূর্যের মতো দীপ্ত যৌবনের উত্থালে বুক ভরা সাহস নিয়ে এক ঝাঁক মেধাবী যুবকদের নিয়ে পথ চলা এনসিপির রাজনৈতিক কার্যক্রম ধীরগতি হলেও অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি‍‍`র পাশাপাশি জামায়েত ইসলামী সাংগঠনিক ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মাঠে শক্ত অবস্থান তৈরি করছেন। তাদের কার্যক্রমে নির্বাচনের তারিখের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি সারতে পারার মতো অবস্থান জানান দিচ্ছেন।বিএনপির সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করার মনোভাব নয় বিএনপিকে হারানোর সকল কৌশল রপ্ত করছেন।এতোসব রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ছিলো গত মঙ্গলবার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া,তারেক রহমানের সহধর্মিণী জোবাইদা রহমান ও ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান দেশে আগমনের আগ মুহূর্ত পর্যন্ত। তাদের আগমনের সাথে সাথেই দৃশ্য সম্পূর্ণ অন্যরকম দেখা যাচ্ছে। যেন ক্ষমতা ছুঁই ছুঁই বা ক্ষমতার আসনে বসা শুধু আনুষ্ঠানিকতা মাত্র। তাদের আগমনে ঢাকার চিত্রের প্রভাব পড়েছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম রাজনীতির মাঠে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ১৭ বছরের চাপা কষ্ট নিমিষেই বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। রাজনীতি থেকে নির্বাচনের মাঠে সর্বত্র বিএনপির মধ্যে অন্যরকম হাওয়া বইতে শুরু করছে।

গত মঙ্গলবার সাবেক প্রধান মন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ দুই পুত্রবধূ দেশের মাটিতে পা রাখতেই ঢাকার সাথে চট্টগ্রাম জুড়ে বিএনপির আনন্দ  দেখে অনেকের গাত্রদাহ বেড়েছে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির মিডিয়া মুখপাত্র ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শওকত আজম খাজা। 

তিনি  দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন আমরা নির্বাচনের কথা বলছি।অন্যান্য রাজনৈতিক দল সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তাঁর দুই পুত্রবধূ আগমন করেছেন।এতে সাধারণ জনগণের মাঝে আনন্দের বন্যা বইছে।নির্বাচন হলেই ভোটাররা বিএনপিকে ভোট দিবেন তা সকলে জানেন।আগামীতে বেগম খালেদা জিয়া ও দুই পুত্রবধূ রাজনীতির মাঠে নামবেন।জনগণ দেখবে একটি ঐক্যবদ্ধ বিএনপি। তা দেখে বাকিদের গাত্রদাহ হচ্ছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত  হোসেন দৈনিক আমার সংবাদকে বলেন, জনগণ নির্বাচন চাই, নির্বাচিত সরকার সংস্কার করবে সংস্কারের নামে নির্বাচন বিলম্ব করা যাবেনা। সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর দুই পুত্রবধূকে নিয়ে  আগমনে দেশের মানুষ একনজর দেখতে লাখ লাখ মানুষ দেখেছেন। তা দেখে বাকিদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।

আরএস