১৫ বছর বয়স দেখিয়ে ২২, ‘জালিয়াতি’ করে ভোটার হতে গিয়ে ফাঁস!

পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৫, ০২:০৫ পিএম

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় মাত্র ১৫ বছর বয়সী এক কিশোর ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে বয়স ৭ বছর বাড়িয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত ফেঁসে গেছেন। এই ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন অফিসের দুই আউটসোর্স কর্মীসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় প্রতারণার মামলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপে ঘটনাটি ফাঁস হয়।

ঘটনার মূল হোতা আরাফাত মিয়া নামের ওই কিশোর। বাড়ি পাকুন্দিয়া উপজেলার নামাপুটিয়া গ্রামে। অভিযোগ অনুসারে, মির্জাপুর আলিম মাদ্রাসা মাঠে ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় দালালের মাধ্যমে ৬ হাজার টাকায় বয়স বাড়িয়ে এনআইডি বানানোর চেষ্টা করেন তিনি।

দালাল হিসেবে কাজ করেন কটিয়াদী উপজেলার কাজীরচরের বাসিন্দা জহিরুল ইসলাম। তিনি এ কাজে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসের আউটসোর্সিং ডেটা এন্ট্রি অপারেটর বারিউল ইসলাম ও ঝাড়ুদার রকিবুল ইসলাম রকিকে যুক্ত করেন।

গত ২৮ এপ্রিল ছবি পরিবর্তনের জন্য ঢাকা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে আবেদন করেন আরাফাত। তথ্য যাচাইয়ের সময় কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখনই জালিয়াতির ঘটনা ফাঁস হয়। আরাফাত নিজেই লিখিতভাবে জানান, কীভাবে টাকা দিয়ে ভোটার হতে চেয়েছিলেন।

এর পরদিন, ২৯ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও পরিচয়পত্র আইনে পাকুন্দিয়া থানায় মামলা করেন।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ঘটনাটি তদন্তাধীন। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

এদিকে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের জালিয়াতি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছি।’

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তা নির্বাচনী অফিসে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে কর্মরত ছিলেন। ঘটনায় তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

বিআরইউ