ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অ্যাম্বুলেন্সে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫

আমার সংবাদ ডেস্ক প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৫, ০২:৫১ পিএম

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানের নীমতলা এলাকায় থেমে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১০ জন। 

বৃহস্পতিবার (৮ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- আব্দুস সামাদ ফকির (৬০), তার ছেলে হাফেজ বিল্লাল ফকির (৪০), মেয়ে আফসানা (২২) ও অ্যাম্বুলেন্স চালক মাহবুব সরদার (২৮)। বাকি একজনের পরিচয় জানা যায়নি। 

নিহতদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা নারী রয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

আহতদের বরাতে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার মিঠাপুকুর গ্রামের বিল্লাল ফকিরের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রোজিনা বেগমকে (৩০) চিকিৎসার জন্য একটি ভাড়া করা অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় ধানমন্ডির একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছিল। অ্যাম্বুলেন্সটিতে পরিবারটির ১০ সদস্য ছিলেন।

দুর্ঘটনার সময় এক্সপ্রেসওয়ের নীমতলা এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সটির চাকা ব্লাস্ট করে। চালক গাড়ি রাস্তার ডান পাশে নিয়ে তা মেরামত করছিলেন। এ সময় যাত্রীরা কেউ ভেতরে, কেউ পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা গোল্ডেন লাইন পরিবহনের একটি যাত্রীবোঝাই বাস পেছন থেকে এসে সজোরে ধাক্কা দেয় অ্যাম্বুলেন্সটিকে।

বাসের হেলপার সাইফুল ইসলাম শান্ত বলেন, ‘আমরা কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার আব্দুল্লাহপুর যাচ্ছিলাম। হঠাৎ রাস্তার ডান পাশে থেমে থাকা অ্যাম্বুলেন্সটি নজরে আসে। চালক ব্রেক করলেও বাস থামানো সম্ভব হয়নি।’

হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে একজন নিহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। পরে আরও তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। মৃতদের মধ্যে অন্তঃসত্ত্বা নারীও আছেন বলে জানা গেছে।’

পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনাকবলিত বাস ও অ্যাম্বুলেন্স জব্দ করা হয়েছে। নিহত নারীর লাশ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, হাইওয়ে থেকে বেশ কয়েকজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চারজন মারা যায়। এরমধ্যে এক নারী তিন পুরুষ। আহত কয়েকজনকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। 

এই দুর্ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। হতাহত পরিবারটির সদস্যদের অধিকাংশই ছিলেন একে অপরের আত্মীয়।

বিআরইউ