বরিশালের হিজলা উপজেলায় বালুমহাল ইজারা নিয়ে পাশ্ববর্তী মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার উত্তর উলানিয়া, দক্ষিণ উলানিয়া ও গোবিন্দপুর ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
রোববার সকালে মেঘনা নদীর তীরে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে তারা এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীদের হাতে থাকা ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “মেহেন্দিগঞ্জের মেঘনায় অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।”
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন- উলানিয়া মহিলা মাদ্রাসার সুপার মাওলানা খলিলুর রহমান, উলানিয়া করোনেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন, সমাজকর্মী মিজানুর রহমান খান ও জসিম উদ্দিন কালু প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, বরিশালের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে হিজলার শাওরা সৈয়দখালী মৌজায় বালুমহাল ইজারা দেওয়া হলেও ইজারাদার আবুল বাছেদ মেহেন্দিগঞ্জের পোমা ও তেতুলিয়া মৌজায় গিয়ে বালু তুলছেন। তারা বলেন, “এটি বেআইনি এবং অবৈধ। ইজারা যেখানে দেওয়া হয়েছে, সেখানে না গিয়ে অন্যত্র বালু উত্তোলন চুক্তিভঙ্গ ও আইন লঙ্ঘনের শামিল।”
বক্তারা আরও বলেন, ইজারাকৃত এলাকাটি একটি বিস্তৃত চর, যেখানে বালু উত্তোলনে কোনো ঝুঁকি নেই। কিন্তু মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া এলাকায় ৩৮৬ কোটি টাকা ব্যয়ে সরকার যে নদীতীর সংরক্ষণ করেছে, সেখানে বালু উত্তোলনের ফলে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
এরই মধ্যে হুমকির মুখে পড়েছে মেঘনার তীরঘেঁষা ঐতিহ্যবাহী উলানিয়া করোনেশন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উলানিয়া বালিকা বিদ্যালয়, উলানিয়া বাজার এবং ঐতিহ্যবাহী জমিদার বাড়ি।
জানা গেছে, বরিশাল জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল বাছেদ মেসার্স আর বি এন্টারপ্রাইজের নামে ইজারা নিলেও পরবর্তীতে শর্ত ভেঙে চাঁদপুর জেলার উত্তর মতলব এলাকার কাজী মতিন ও হোসেন বেপারীর কাছে সাব-ইজারা দেন।
এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিয়াজুর রহমান বলেন, “যেখানে ইজারা দেওয়া হয়েছে, সেখানে ছাড়া অন্য কোথাও বালু উত্তোলন করা সম্পূর্ণ অবৈধ। ইতোমধ্যে বালু উত্তোলন বন্ধে কোস্ট গার্ডকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
ইএইচ