নড়াইল জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুল গফফারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে তার অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টায় জেলা হাসপাতালের সামনে নড়াইল-রূপগঞ্জ সড়কে এ কর্মসূচির আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল-ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও জেলা ড্রাগ সমিতি। কর্মসূচিতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ভুক্তভোগীরা অংশ নেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের জেলা শাখার সভাপতি বিদ্যুৎ সান্যাল। সাধারণ সম্পাদক এসএম সাজ্জাদ হোসেন, সাবেক সভাপতি তরিকুল ইসলাম তরিক, মো. সোহেল রানা এবং শ্রমিক নেতা কামরুল বিশ্বাসসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. গফফার সরকারি নিয়মনীতি উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতায় লিপ্ত। দরিদ্র রোগীরা সঠিক চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। খাদ্য সরবরাহে গোপন আঁতাতের কারণে রোগীরা নিম্নমানের খাবার পাচ্ছেন।
তারা আরও বলেন, হাসপাতালের সরকারি আল্ট্রাসনো মেশিন বিকল রেখেই ডা. গফফার এনজিও পরিচালিত ‘আরএইচ স্টেপ’-এ নিয়মিত অর্থের বিনিময়ে আল্ট্রাসনো করে যাচ্ছেন। এছাড়া রোগীদের সেখানে পাঠিয়ে অনৈতিকভাবে সুবিধা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠে। কখনও কখনও ভুল রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। হাসপাতালের ওষুধ ও সরঞ্জাম চুরির অভিযোগও সভায় তোলা হয়।
এ বিষয়ে ডা. আব্দুল গফফার বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। এটি একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। আমি কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নই। জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দালাল প্রবেশ নিষিদ্ধ করায় কিছু প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক মালিকের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তারাই এসব ষড়যন্ত্র করছে।”
ইএইচ